ওয়েব ডেস্ক, দিল্লিঃ
নতুন কৃষি বিলের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। রাস্তায় নেমেছেন পাঞ্জাব, হরিয়ানার বড় অংশের কৃষকের দল। পাঞ্জাবে রেল লাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। শুরু হয়েছে ‘রেল রোকো’ আন্দোলন।
এহেন পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার সকালে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের সামনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল একটি ট্র্যাক্টরে। চারপাশে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে রাজধানী দিল্লির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান ইন্ডিয়া গেটের সামনে দাউ দাউ করে আগুনে জ্বলতে থাকে ট্র্যাক্টরটি।
A day after President #RamNathKovind signed the #AgricultureBill's and made them laws, the @IYCPunjab workers on Monday set ablaze a tractor in the high security #IndiaGate area to protest against the contentious legislation.#FarmBills pic.twitter.com/1y3DGxUz3O
— IANS Tweets (@ians_india) September 28, 2020
কৃষি বিলের বিরোধিতায় প্রতিবাদ প্রদর্শন করেই এই ট্র্যাক্টরটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল কর্মীরা। আগুনে পুড়ে যাওয়া ট্র্যাক্টরটিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।আগের রবিবার রাজ্যসভায় পাশ হয় তিনটি বিল। এরপরই পাশ হওয়া ওই তিনটি বিলে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
আরও পড়ুনঃ বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ছাড়ল শিরোমনি আকালি দল
এই বিলের প্রতিবাদে দেশজুড়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিশেষ করে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকরা বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করে তুলেছেন। রক্তে লেখা পোস্টার-জোটবদ্ধ প্রতিবাদ! বাংলা বলল, ‘এই কৃষিবিল মানি না’।
সোমবার সকালে ৭ টা ১৫ মিনিট থেকে ৭ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে মধ্য দিল্লিতে সমবেত হন ১৫ থেকে ২০ জন বিক্ষোভকারী। একটি পুরনো ট্র্যাক্টরে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী কংগ্রেসের সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছিলেন ওই বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুনঃ কৃষি বিলের প্রতিবাদে কোচবিহারে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ ছাত্র পরিষদের
এই ঘটনায় যুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। গত কয়েকদিন ধরেই কৃষি বিলের বিরোধিতায় উত্তপ্ত পাঞ্জাব ও হরিয়ানা। যদিও এই বিল থেকে কৃষকরা উপকৃত হবেন বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের বক্তব্য, নয়া আইনেও এমএসপি বাতিল হচ্ছে না।
এমএসপি-র পাশাপাশি চাষিদের জন্য কর্পোরেট সংস্থার কাছে ফসল বিক্রির দরজাও খুলে দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে চাষিদের দর কষাকষি করে বেশি দাম পাওয়ার সুযোগ থাকবে। মধ্যস্থতাকারীদের দাপট কমবে, চাষিরা সরাসরি বিক্রির সুযোগ পাবেন।
এদিকে, দেশের অধিকাংশ কৃষক এবং কৃষক সংগঠনের সদস্যদের বক্তব্য, সরকারের ভোট পাওয়ার দায়বদ্ধতা রয়েছে, কিন্তু বড় কর্পোরেট সংস্থার তা নেই। ফলে, উৎপাদনে ক্ষতি হলে বা বাজারে দাম কম থাকলেও সরকার যথাযথ ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেয়।
বাজারকে উন্মুক্ত করে দিলে দর কষাকষির উপরই দাম নির্ভর করবে। আর বড় কর্পোরেট সংস্থার সঙ্গে গ্রামের ছোট চাষিদের দর কষাকষির ক্ষমতা সামান্য। যাঁর কাছে কম দামে পাবে, কর্পোরেট সংস্থা তাঁর থেকেই ফসল কিনবে। এর ফলে বাকি চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশঙ্কা করছে কৃষক সংগঠন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584