সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
বাংলার পিঠে-পুলি উৎসব মানে হাজারো রকমের আয়োজন।কী নেই তাতে!সড়াই পিঠে থেকে শুরু করে পাটি-সাপটা,পুলি, ভাপা পিঠে,গুড় পিঠের মতো আরো কত কি।এর সঙ্গে জুড়ে দিন নলেন গুড়ের পায়েস।বাঙালির রসনায় এমন মিষ্টি আর পিঠের স্বাদ দ্বিতীয়টি পাওয়া কঠিন।আর এই হরেক পিঠে নিয়ে পৌষমাসে পিঠে পুলি প্রতিযোগিতায় মাতলেন প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা।দক্ষিন সুন্দরবনের চারটি গ্রামের প্রায় দেড়শোজন মহিলারা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।বিজয়ী যারা হবেন তারাই আগামীদিন পর্যটন স্থানগুলিতে বিপনন গড়ার সুযোগ পাবেন।আর এই অভিনব প্রতিযোগিতার আয়োজক ফ্রেজারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতের মানবতীর্থ পাঠাগার। নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শিবপুর গ্রাম ।যে গ্রামে প্রায় দুহাজার মানুষের বসবাস বেশীরভাগই মৎস্যজীবি।গ্রামীন অর্থনীতির অনগ্রসরতা উপেক্ষা করেই এই প্রতিযোগিতা ঘিরে উৎসবে মাতোয়ারা প্রবীন থেকে নবীন।এক প্রতিযোগী মামনি মন্ডল বলেন শীত পরলে পিঠে পুলি উৎসবে মুখর হয়ে ওঠেন উত্তর শিবপুর গ্রাম।মানবতীর্থ পাঠাগার নামে গ্রামের এই ক্লাবে আঠাশ বছর ধরে পালিত হয়ে আসছে পিঠে পুলি উৎসব।গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে চাল গুড় নারকেল সংগ্রহ করে রাখা হয়,কম পরলে ক্লাব সদস্যদের সাহায্যে পূরণ হয় না থাকা টুকু।মানবতীর্থ পাঠাগারের সম্পাদক রমেশ পাত্র জানান, এবারে প্রায় একশো জন মহিলা অংশ নেন পিঠে পুলি এই প্রতিযোগিতায়।তিনজনের এক একটি দল।যে দল স্বাদে গন্ধে সুস্বাদু এবং পরিচ্ছন্ন পিঠে করবে সেই নিরিখেই প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় হিসাবে পুরস্কৃত করা হবে।এছাড়া বাকিদের জন্য রয়েছে স্বান্তনা পুরস্কার।তবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী মহিলারা জানান পুরস্কারের চেয়েও এক সাথে মিলিত হয়ে সারাদিন পিঠেপুলির তৈরির অনন্দই তাঁদের কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার।তাঁদের হাতের তৈরি পিঠেতে মুখ মিষ্টি করেন পথ চলতি সাধারণ মানুষও।ক্লবের কর্মকর্তাদের একজন অমিত,তিনি জানান, বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে পিঠেপুলি।সেই হারিয়ে যাওয়া বাঙালি খাবার ধরে রাখতে এই আয়জন।উত্তর ও দক্ষিন শিবপুর,মহারাজগঞ্জ,দেবশিবাস চারটি গ্রামের মহিলারা অংশ নেন।শীতের কাঁপুনি আর সুস্বাদু হরেক পিঠের সুগন্ধ আর স্বাদে ম ম করছে দক্ষিণ সুন্দরবন।
আরও পড়ুন: ধর্মঘটের কারনে পরীক্ষা পিছনোর দাবি এস এফ আই’র
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584