মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী সভা মঞ্চকে পরাজয় বিনাশের স্মারক বলে উল্লেখ মোদীর

0
42

মনিরুল হক,কোচবিহারঃ

Pm at coochbehar meeting
নিজস্ব চিত্র

রাসমেলা মাঠে তৃণমূলের বাঁধা রয়েছে মঞ্চ৷সেই মঞ্চ ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক৷সোমবার ওই মঞ্চেই নির্বাচনী প্রচার সভা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ঠিক তার আগের দিন তৃণমূলের ওই মঞ্চের পাশে মঞ্চ গড়ে সভা করেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি বক্তব্য দিতে উঠেই ওই মঞ্চ দেখিয়ে বলেন,‘‘ওটা দিদির পরাজয়ের স্মারক,বিনাশের জীবন্ত স্মারক।ওই মঞ্চ বানিয়েছে যাতে জায়গা ছোট হয়ে যায়। কিন্তু এইভাবে মানুষের উন্মাদনা কমানো যাবে না৷ সভাস্থলে এত মানুষের ভিড়ই বলে দিচ্ছে বাংলায় বিজেপির সমর্থন বাড়ছে৷’’

Pm at coochbehar meeting
নিজস্ব চিত্র

প্রধানমন্ত্রীর কথায়,এইসব ঘটনাই প্রমাণ করছে দিদি ভীত৷তাই কথায় কথায় রেগে যাচ্ছেন দিদি৷কিন্তু মানুষ পদ্মফুলকে সমর্থন করলে কারোর কিছু করার নেই৷ মোদীর দাবি, ‘‘দিদি ভীত৷ বিজেপির জন সমর্থনে উনি আয়নায় নিজের ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়েছেন৷তাই শিশু সূলভ আচরণ করে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করছেন৷’’
এদিন জন সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘‘দেশকে যারা টুকরো করতে চাইছে তাদের সমর্থন করছেন দিদি৷তিনি তাদের সমর্থন করেছেন যারা দেশে দুটো প্রধানমন্ত্রী চান৷একজন কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী হবেন৷ অপরজন কাশ্মীর বাদে গোটা দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন৷’’ জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে তিনি জানতে চান,কেন্দ্রে এমন সরকার চান আপনারা ?এমন দাবিকে আপনারা সমর্থন করবেন?মমতা-অভিষেককে ‘বুয়া-ভাতিজা’ জুটি বলে কটাক্ষ করেন মোদী৷বলেন, ‘‘এই বুয়া ভাতিজা জুটি রাজ্যকে ধ্বংস করে দেবে৷’’

Pm at coochbehar meeting
নিজস্ব চিত্র

লোকসভার বৈতরণী পারে বাংলাকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি৷গেরুয়া শিবিরের প্রচারেও তৃণমূল সরকারের অনুন্নয়নের থেকে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে হিংসা, অনুপ্রবেশ ইস্যু,এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্ন তোলার বিষয়গুলি৷এবার জোড়াফুল শিবিরকে বেকায়দায় ফেলতে এই নানান ইস্যুর সঙ্গে তৃণমূলের স্লোগানকে সংযুক্ত করে রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী৷
কোচবিহারের রাসমেলার মাঠে পরপর দু’দিন সভা মোদী মমতা’র৷প্রধানমন্ত্রীর সভার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মোদীর অভিযোগদের জবাব দেবেন মুখ্যমন্ত্রী৷৩০ মিটারের ব্যবধানে মঞ্চ রয়েছে অর্ধ বাঁধা অবস্থায়৷যা নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে তরজা শুরু হয়৷

আরও পড়ুনঃ দেশের ভালোর জন্য এনআরসি-সিটিজিনেশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল,কোচবিহারের সভায় মোদী

পরে অবশ্য বিবাদের অবসান হয়৷ঠিক হয় মোদীর সভাস্থল থেকে মমতার সভা মঞ্চ বাদ দিয়ে বাকি কাঠামো খুলে নিতে হবে।শুধু রয়ে যাবে পরদিন সভার জন্য প্রস্তুত হওয়া মমতার মঞ্চটি।আগামী কাল সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদীর এই কটাক্ষের জবাব দেয় কি না সেটাই এখন দেখায় বিষয়।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here