শ্যামল রায়,কাটোয়াঃ
গোটা রাজ্য জুড়ে যেখানে ভাগাড় কাণ্ড নিয়ে উত্তাল সেখানে নিরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে কালনা কাটোয়ার পুলিশ ও প্রশাসন।
তাহলে প্রশ্ন উঠেছে এই সমস্ত স্থানে কি পচা মাংস পচা মাছ বিক্রি হয় না? প্রশ্ন তুলেছেন ক্রেতারাই।
রবিবার ছিল ছুটির দিন। সমস্ত হোটেল ও রেস্তোরাতে পচা মাছ মাংস রান্না যে হচ্ছে না এ কথা জোর দিয়ে বলতে পারছেন না ঐ সমস্ত জায়গার কর্মীরা । অনেক হোটেল-রেস্তোরার শ্রমিকরা চুপিসারে বলছেন যে মাঝেমধ্যে এসমস্ত হয়েই থাকে ।
তাহলে হবেটাই বা কেন?
তবে ভাগাড় কাণ্ডের জের পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা বা কাটোয়া মহকুমায় এর কোনো প্রভাব পড়েনি।
মুরগির মাংস মাছ সবটাই যেন অগ্নিমূল্য।
ছুটির দিনে সমস্ত জায়গাতেই দেখা গেছে প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে মাংস এবং মাছ। এখান থেকেই চলে যাচ্ছে হোটেল এবং রেস্তোরাতে।
অথচ কালনা ও কাটোয়া মহকুমার রোডের চারিপাশে অসংখ্য হোটেল-রেস্তোরা রয়েছে। ঐ সমস্ত খাবারের নমুনা পরীক্ষা করার মতো আদৌ কোনো যন্ত্রপাতি আছে কিনা প্রশ্ন তুলেছেন হোটেল বা -রেস্তোরার কর্মীরাই।
পূর্বস্থলী ১ ও ২ নম্বর ব্লকের পূর্বস্থলী বাজার পাটুলি বাজার পারুলিয়া বাজার ধাত্রীগ্রাম সমুদ্রগড় কালনা মঙ্গলকোট মন্তেশ্বর বাজারে মাংস ও মাছের বিক্রি কোন অংশেই ঘাটতি পড়েনি। বরং বেড়েছে।
তবে এটা লক্ষ্য করা গেছে যে দোকানে এসে সকলেই মুরগি কেটে দিতে বলছেন। কাটা মুরগীর মাংস অনেকেই নিতে অস্বীকার করছে দেখা গেল।
তবে এই সমস্ত জায়গায় মুরগির দাম দেড়শ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
তবে এখানে খাসির মাংসের দাম কমেনি বরং চাহিদা বেড়েছে।
এছাড়াও মাছ বিক্রির ঘাটতি ঘটেনি আগের মতই সবকিছু দামে বিক্রি হচ্ছে।
এখানকার মুরগী মাছ বিক্রেতারা জানাচ্ছেন যে এখানে কোন পচা জিনিস বিক্রি হয় না তাই দাম কমেনি। মাছ বিক্রেতা গৌরাঙ্গ মাঝি জানালেন যে আমরা যেসব মুরগি নিয়ে আসি মরা মাংস বিক্রি করি না। সমস্ত ক্রেতাদের সামনেই আমরা মাংস বিক্রি করে থাকে। সেই সাথে মাসেও বিক্রি করে থাকি। তাই ভয়ের কোন কারণ নেই। ভাগাড়ে কান্ডের জের আমাদের এখানে পড়েনি।
সংবাদ ছবি ও ফিচার ছবি সংগৃহীত
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584