এই পুলিশ, তোর উর্দি কোথায়?

0
46

নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ

রবিবার দিল্লির রাত। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। ১০টা নাগাদ সবরমতী ধাবার সামনে পড়ুয়াদের জড়ো হতে বলা হয়। প্রাক্তনীরা পশ্চিম দিকের গেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢোকেন।

ততক্ষণে উত্তর গেটের কাছে বজরং দল এবং এবিভিপি সমর্থকেরা জটলা পাকাচ্ছে। তাদের অনেকেই আবার উর্দিবিহীন পুলিশ। মুখে রুমাল, হাতে ব্যাট, লাঠি, রড।

police force silent despite of rss abvp supporters | newsfront.co
জেএনইউ গেটের সামনে নিষ্ক্রিয় পুলিশবাহিনী। চিত্র সৌজন্যঃ এএনআই

আগের বার জামিয়া মিলিয়াতে পুলিশের বিনা অনুমতিতে ক্যাম্পাসে বলপূর্বক ঢোকা নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছিল অনেক। এবার তাই উর্দি ছেড়েই গুন্ডা সেজে ক্যাম্পাসে ঢোকে পুলিশ।

রাত বাড়ছে। বহু শিক্ষার্থী আইটিও ঘেরাওয়ের ডাক দিয়ে রওনা দিয়েছেন মিছিল করে।

আরও পড়ুনঃ ক্যাম্পাসে মুখোশ পরিহিত গুন্ডারা সন্ত্রাস ছড়ানোর পর প্রতিবাদে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী

রাত সাড়ে এগারোটা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর গেটের সামনের রাস্তাটা প্রায় অন্ধকার। কিছু ওবি ভ্যান আর মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট। তার মধ্যেই চলছে দু’দলের স্লোগান যুদ্ধ। ‘দিল্লি পুলিশ জিন্দাবাদ’ বনাম ‘দিল্লি পুলিশ মুর্দাবাদ।’

পুলিশ নিষ্ক্রিয়। তন্ময় হয়ে উত্তর গেটের দিকে তাকিয়ে। পুলিশের সামনেই এবিভিপি আর জেএনইউ শিক্ষার্থীদের স্লোগান যুদ্ধ চলছে। কখনও এরা তাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আবার কখনও তাড়া খেয়ে পুলিশের দিকে ফিরে যাচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের সাথে উপস্থিত অধ্যাপকরাও। সাথে ছাত্রনেতা এন সাঁই বালাজি, ছাত্র সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাকেত মুন, জেএনইউটিএ-র প্রেসিডেন্ট সুরজিৎ মজুমদারও আছেন। এবিভিপির দুষ্কৃতীদের অত্যাচার প্রসঙ্গে এক ছাত্র জানায়, ‘‘ওদের বড় কোনও কিছু ঘটানোর লক্ষ্য ছিল। বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীর যে ভাবে মাথা ফেটেছে, তাতে সেটাই মনে হচ্ছে।’’

আরও পড়ুনঃ জেএনইউ-এ গেরুয়া হামলার প্রতিবাদে ভোর রাতে মশাল মিছিল বহরমপুরে

মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে জেএনইউএসইউ-র সভাপতি ঐশী ঘোষের। আকুল কন্ঠে যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে সে সংবাদমাধ্যমকে জানায়, এখন সে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই, প্রচন্ড রক্তপাত হচ্ছে।

রাত বাড়ছে। এবার পুলিশ সক্রিয় হয়েছে। কিন্তু এই সক্রিয়তা নেতিবাচক অর্থে।  উত্তর গেটের কাছে পৌঁছে যান বিশ্ববিদ্যালয়-প্রাক্তনী এবং সমাজকর্মী যোগেন্দ্র যাদব-সহ অনেকে।

অভিযোগ, পুলিশ যোগেন্দ্রকে হেনস্থা করেছে। এক সাংবাদিক পরিচয়পত্র দেখালেও পুলিশ তাকে লাঠিচার্জ করে। আহত পড়ুয়াদের চিকিৎসার জন্য আসা একটি মেডিক্যাল টিমের উপরেও হামলা করেছে গেরুয়া বাহিনী। কিন্তু তখনও পুলিশ নির্বাক দর্শক হয়েই ছিল।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here