সায়ন্তনকে গো-ব্যাক স্লোগান কোচবিহারে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের লাঠিচার্জ

0
42

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

১৪৪ ধারা অমান্য করে সভা করতে যাওয়ার পথে বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু, মালতি রাভা সহ গ্রেফতার বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব। পরে ব্যক্তিগত বন্ড দিয়ে জামিন নেন বিজেপি নেতৃত্বরা। জামিন পেয়ে থানা থেকে বেড়নোর সময় সায়ন্তন বসু ও মালতী রাভাকে গো-ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করে কয়েকজন যুবক। সেই সময় বিজেপি কর্মীরা ওই যুবককে ধরতে যায়। পরে পুলিশ এসে এলোপাথাড়ি লাঠি চার্জ করতে শুরু করে। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন যুবক আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আহত ওই যুবকের নাম গোপাল দাস। সে তৃণমুল কর্মী বলে জানা গেছে। ওই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয় মাথাভাঙ্গা থানা চত্বরে। পরে মাথাভাঙ্গা থানায় আইসির বদলির দাবিতে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

আহত। নিজস্ব চিত্র

অভিযোগ, রবিবার ছুটির দিন থাকায় স্থানীয় কয়েকজন যুবক ঘুরতে বের হয় তারা তৃণমূল কর্মী। পরে তারা মাথাভাঙ্গা থানা সংলগ্ন পার্কের সামনে ফুচকা খাচ্ছিল ওই তৃনমূল কর্মীরা। বিজেপি নেতা আটক হয়েছে কি না তা তাদের জানা ছিল না। কে বা কারা গো-ব্যাক স্লোগান দিয়েছিল তা জানা ছিল না ওই তৃনমূল কর্মীদের। পরে বিজেপি নেত্রী মালতী রাভার নির্দেশে ওই তৃণমূল কর্মীদের পুলিশ লাঠি চার্জ করে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন তৃনমূল কর্মী আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে করা হয়। পরে একজনকে কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

যদিও এবিষয়ে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভার অভিযোগ, আমরা যখন জামিন নিয়ে থানা থেকে বের হচ্ছিলাম। সেই সময় তৃনূমূল কর্মীরা সায়ন্তন বসু ও মালতী রাভা গো-ব্যাক বলে শ্লোগান দেন। পরে পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করেও ছেড়ে দেন। আমরা কোন রাজ্যে বসবাস করছি। যেখানে আমাদের কোন গণতন্ত্র নেই। দিদি মুখে গনতন্ত্রের কথা বললেও তার কর্মী ও পুলিশ যৌথভাবে গণতন্ত্রকে লুণ্ঠিত করছে।

যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি নরেন দত্ত বলেন, “বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী থানার কাছে পার্কের সামনে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাচ্ছিল। সেই সময় বিজেপি নেত্রী মালতী রাভার নির্দেশে পুলিশ নিরীহ তৃণমূলের কর্মীদের উপর লাঠি চার্জ করে। পুলিশ বিজেপির কাছে বিক্রি হয়েছে। সেই কারনে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। তাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হয়। আমরা মাথাভাঙ্গা থানার আইসির বদলির দাবিতে থানার বিক্ষোভ করছি।”

প্রসঙ্গত, রবিবার বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে শীতলকুচিতে সভা করার কথা ছিল বিজেপির। সেইসঙ্গে অভিনন্দন যাত্রা করারও পরিকল্পনা ছিল। সেই মতো বেলা গড়াতেই সভাস্থলে হাজির হন কর্মী-সমর্থকরা। কলকাতা থেকে কোচবিহার পৌঁছন সায়ন্তন বসু। কিন্তু শীতলকুচি ব্লকে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় এবং সভার অনুমতি নেই একথা জানিয়ে মাথাভাঙা পঞ্চানন মোড়ে বিজেপি নেতার গাড়ি আটকায় পুলিশ। বাধা পেতেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে বিজেপির নেতা-কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির জেলা সভাপতি মালতি রাভা। ১৪৪ ধারা যে জারি রয়েছে তাঁর লিখিত প্রমাণ দেখতে চান সায়ন্তন বসু। অশান্তির খবর পেয়েই সভাস্থল থেকে পঞ্চানন মোড়ে জমায়েত হয় কর্মীরা। এরপরই বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুকে আটক করে পুলিশ। পরে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু, মালতী রাভা, নিত্যানন্দ মুন্সী সহ বেশ কয়েকজন নেতৃত্বকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটে থানায় হাজির হন সায়ন্তন বসু। পরে কয়েক ঘন্টা কাটানোর পর ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নেন ওই বিজেপি নেতা নেতৃত্বরা। জামিন নিয়ে থানা থেকে বের হওয়ার সময় বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা সায়ন্তন বসু ও মালতী রাভা গো-ব্যাক বলে স্লোগান দেন। পরে পুলিশ সেখানে লাঠি চার্জ করেন। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। তাদের মধ্যে গোপাল দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত হয় বলে জানা গিয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here