নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহঃ
লরিচালকের কাছ থেকে দাবি মতো তোলা না পেয়ে এক লরিচালককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে৷ পুলিশের হাত থেকে কোনমতে পালিয়ে ওই চালক মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন।
অভিযোগ, বিনা কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ একাধিক মিথ্যে মামলায় তাকে এখন মেডিকেলের পুলিশ সেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়৷ কেড়ে নেওয়া হয় চিকিৎসার যাবতীয় কাগজপত্র৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ওই লরিচালকের স্ত্রী পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ জানা গিয়েছে, ধৃত লরিচালকের নাম জাকির হোসেন৷
তার বাড়ি মোথাবাড়ি থানার পুরাতন পটলডাঙা গ্রামে৷ তার স্ত্রী সাকিলা বিবি বলেন, “গত ২৫ জুলাই স্বামী ফরাক্কার দিক থেকে বালি ভর্তি লরি নিয়ে মালদহের দিকে যাচ্ছিল৷ ১৮ মাইল টোল প্লাজা পেরোতেই বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ তার লরি আটকায়৷ লরিতে ওভারলোড রয়েছে অভিযোগ করে স্বামীর কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে৷ সেই টাকা আমার স্বামীর কাছে ছিল না৷ সে লরি নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷ এরপর পুলিশ কালিয়াচকের বালিয়াডাঙা এলাকায় ফের স্বামীর লরি আটকায়৷ লরি থেকে তাকে নামিয়ে এনে মারধর করে৷ এলাকার লোকজন স্বামীকে বাঁচাতে গেলে পুলিশ তাদের উপরেও লাঠিচার্জ করে৷ সুযোগ বুঝে স্বামী সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷
আরও পড়ুনঃ মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
চিকিৎসার জন্য সে মালদহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়৷ খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে এসে তাকে গ্রেফতার করে৷ তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছে৷ তাই আজ আমি পুলিশ সুপারের কাছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি৷
আমি চাই, পুলিশ সুপার যথাযথ তদন্ত করে আমার স্বামীর মুক্তির ব্যবস্থা করুন৷” এবিষয়ে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, এমন অভিযোগের কথা তার জানা নেই৷ কাজের সূত্রে আজ তিনি শহরের বাইরে রয়েছেন৷ তিনি অফিসে গিয়ে অভিযোগপত্র খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন৷
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584