নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
ফের বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদের পথ আটকালেন পুলিশ। এরপরেই অভিযোগের তীর ছুটে আসে তৃণমূল সরকারের দিকে। শনিবারের পর রবিবারও গন্তব্যে পৌঁছতে পারলেন না দিলীপ ঘোষ।
এদিন নিজের সংসদীয় কেন্দ্র মেদিনীপুরে যাচ্ছিলেন দিলীপ বাবু। পথে পূর্ব মেদিনীপুরের শ্রীকৃষ্ণপুরে তাকে বাধা দেয় পুলিশ। এর পর সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তিনি জানিয়েছেন, অবরোধ চলছে বলে প্রথমে তার গাড়ি জাতীয় সড়ক থেকে রাজ্য সড়কে ঘুরিয়ে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ আমপানে বিপর্যস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজে পাঠানো হল উত্তরবঙ্গ থেকে বিশেষ দল
এরপর নন্দকুমারের কাছে শ্রীকৃষ্ণপুরে তার গাড়ি আটকায় পুলিশ। দিলীপবাবুর গাড়ি আটকাতে আগে থেকেই সেখানে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, সামনে জল ও বিদ্যুতের দাবিতে অবরোধ চলছে।
তাই সাংসদ সেখানে গেলে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতি হতে পারে। রাজ্য সভাপতির গাড়ি আটকানো হয়েছে এই খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পালটা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় তৃণমূলকর্মীরা। যদিও তাদের দাবি, তারা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন।
আরও পড়ুনঃ ঠান্ডাযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে আমেরিকা, অভিযোগ চিনের বিদেশমন্ত্রীর
কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে সেখানে এসেছেন তারা। বেশ কিছুক্ষণ এই রকম পরিস্থিতি চলার পর গাড়ি ঘোরান দিলীপবাবু , এরপর তিনি পশ্চিম মেদিনীপুর দিয়ে নিজের সংসদের এলাকা মোহনপুরে আমপানের বলি গোবিন্দ পাত্রের বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। সেই সময় পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমান্তের শ্রীরামপুর এলাকায় সাংসদ দিলীপ ঘোষের পথ আটকায় পুলিশ।
পরে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয় তার রাস্তা। উল্লেখ্য, দাঁতনের মোহনপুর এলাকায় আমপানের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
“পুলিশ দিয়ে আমার গাড়ি আটকানো হচ্ছে, আমি সংবিধান মেনে আইন অনুযায়ী যাচ্ছি। আমি দিল্লি তে আইন তৈরি করি, আইন জানি আইন মানি। আমাকেই আইন শেখানো হচ্ছে”, রবিবার এই অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ রায়গঞ্জ পুরসভার উদ্যোগে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য চালু সহায়তা কেন্দ্র
তিনি জানান, আজ তিনি সাংসদ হিসেবে তার সংসদীয় ক্ষেত্রে আসছিলেন, কয়েকটি হাসপাতালে গিয়ে স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করার জন্য। রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে পুলিশ তার পথ আটকায়। তিনি জাতীয় সড়কে হাঁটা শুরু করলে, পুলিশও তার সঙ্গে হাঁটতে থাকেন।
পরে পুলিশ তাকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ঢোকার অনুমতি দিলেও, খড়গপুরে জাতীয় সড়কের পাশে একটি হোটেল পর্যন্ত আসারই অনুমতি দেয়। এরপর, খড়গপুরের খাটরঙ্গা এলাকার একটি হোটেলে বিশ্রাম নিয়ে কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কলকাতা অভিমুখে রওনা হন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584