নিজস্ব সংবাদদাতা,ঝাড়গ্রামঃ
ব্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়া থেকে গ্যাস বুকিং, আবার ট্যাপে জল ধরে দেওয়া থেকে ওষুধ কিনে এনে দেওয়া, এমনকী একাকীত্ব কাটাতে বাড়িতে গিয়ে গল্প করা। এমনই মানবিক কাজ করছেন ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ কর্মীরা। এই করোনার আবহে পরিবারের সদস্যের মতো পুলিশকে পাশে পেয়ে খুশি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম শহরে অনেক বয়স্ক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রয়েছেন, যাঁদের কেউ দেখার নেই ৷ কারোর ছেলে বাইরে থাকে, আবার কারোর মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কোনও ছেলে হয়তো বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখাশুনা করে না। তাদের জন্যই এই উদ্যোগ। ঝাড়গ্রাম থানার আইসি পলাশ চট্টোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় পুলিশ সমীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে ৬০ জনের নামের তালিকা তৈরি করেছে ।
ঝাড়গ্রাম থানার এক জুনিয়র কনস্টেবল জগদীশচন্দ্র কুইরী ও সিভিক ভলান্টিয়ার সনাতন মান্না স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে ঝাড়গ্রাম শহরের ঘোড়াধরা, কদমকানন, রঘুনাথপুর, নতুনডিহি, বাছুরডোবা, পুরাতন ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় একা থাকা এই ৬০ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে চিহ্নিত করেছেন। প্রথমে পুলিশের পোশাক পরে ওই সব বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাঁদেরকে সব কথা বলে নিজেদের ৪টি মোবাইল নম্বর কাগজে লিখে দিয়ে এসেছেন তারা ।
আরও পড়ুনঃ করোনা আবহে পুজোর আগে দুশ্চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা
তারপর তাদের কাছে ফোন এলেই নিজেদের বাইক নিয়ে পৌঁছে গিয়ে সেই সমস্যার সমাধান করছেন। ঝাড়গ্রাম শহরে একা থাকা বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পাশে থেকে এভাবেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন পুলিশরা। পুলিশের মানবিক এহেন কাজ দেখে আপ্লুত শহরের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584