অনুমোদনহীন মাদ্রাসা শিক্ষকদের মিছিলে বাধা পুলিশের

0
197

উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ

অনুমোদনহীন মাদ্রাসা শিক্ষকদের মিছিলে বাধা পুলিশের। আজ মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য বালিগঞ্জ স্টেশনের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন মাদ্রাসার শিক্ষকরা। সেই সময় তাদের বাধা দেয় পুলিশ। গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়।

Kolkata police | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষার বিস্তারে দশ হাজার মাদ্রাসাকে অনুমোদন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মাত্র দুশোপঁয়ত্রিশটি মাদ্রাসা অনুমোদন পেয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবি জানিয়ে অনেকবার আন্দোলন হয়েছে, হয়েছে অনশনও ।

কিন্তু, দাবি পূরণের বদলে মিলেছে আরও প্রতিশ্রুতি । অভিযোগ, সেগুলিও পূরণ হয়নি । এমনকী অনুমোদন পাওয়া মাদ্রাসাগুলিও সরকারের কাছ থেকে কোনও প্রকার আর্থিক সাহায্য পায় না বলে অভিযোগ বেসরকারি মাদ্রাসাগুলির । তাই একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে আজ ফের পথে নেমেছেন বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষকরা ।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যে দুশো’র বেশি আসনের লক্ষ্য, বৈঠক বিজেপির

চেতলা পার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয় শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের শাখা সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ অনুমোদনহীন মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী কল্যাণ সমিতির তরফে । কিন্তু পুলিশের তরফে মেলেনি মিছিলের অনুমতি । আর তাই মিছিলে অংশগ্রহণ করতে এলেই গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ ড্যামেজ কন্ট্রোলে বিক্ষুব্ধদের নিয়ন্ত্রণে দলের বক্তব্য শুনতে, জানাতে রোস্টার তৃণমূলের

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,মাদ্রাসা শিক্ষকদের বিক্ষোভের জেরে মঙ্গবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বালিগঞ্জ। রাজ্যের নথিভুক্ত ১০ হাজার মাদ্রাসাকে সরকারি স্বীকৃতি দিতে হবে, সেইসঙ্গে মাদ্রাসার শিক্ষকদের স্থায়ী পদ দিতে হবে। এই দাবিতে এদিন সকালে বালিগঞ্জের ভারত সেবাশ্রম সংঘের সামনের এলাকায় বিক্ষোভে বসেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা। আর তা কেন্দ্র করেই ছড়ায় উত্তেজনা।

প্রায় শ দুয়েক মাদ্রাসা শিক্ষক জমায়েত করেন। সকাল সাড়ে নটা নাগাদ জমায়েত করতে শুরু করেন তারা। পথ অবরোধের চেষ্টাও করেন বিক্ষোভকারীরা। মাদ্রাসা শিক্ষকদের এই বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য জামির লেনে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।

আরও পড়ুনঃ ফের সম্পত্তির হিসেব চেয়ে সস্ত্রীক মুকুল রায়কে নোটিশ ইডির

বিক্ষোভের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে বাধা দেয় তারা। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে আসেন গড়িয়াহাট থানার ওসি। মাদ্রাসা শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় প্রথমে।

কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে, তাদের টেনে হিঁচড়ে জোর করে রাস্তা থেকে ওঠানো হয়। তাতেই উত্তেজনা ছড়ায়। পরে ঘটনাস্থলে আসেন ডিসি সাউথও। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে বিক্ষোভ, অবরোধ। শেষে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রায় ১০০ জন মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here