পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
বিশ্বভারতীর প্রাচীর বিতর্ক নিরসন করতে পথে নামলেন বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার। রবিবার সকাল বেলায় সাইকেল নিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন শান্তিনিকেতন বাসীদের সঙ্গে কথা বলতে, কিভাবে সমাধান করা যায় পৌষ মেলার মাঠের সমস্যা। পুলিশ সুপার নিজে কথা বলেন শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন আশ্রমিক দের সাথে। পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে অত্যন্ত সন্তুষ্ট প্রবীণ আশ্রমিক উর্মিলা গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি জানিয়েছেন, “যেভাবে বীরভূম জেলার একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক তথা পুলিশ সুপার রাস্তায় নেমে মানুষের মতামত সংগ্রহ করছেন মেলার মাঠকে কেন্দ্র করে তা অত্যন্ত প্রশংসাজনক। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উচিত ছিল এইভাবে মানুষের সঙ্গে কথা বলে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আশ্রমকে কিভাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যায়ন করা যায় সেই ব্যাপারে আরও যত্নবান হওয়া।” একের পর এক রবীন্দ্র আদর্শের পরিপন্থীহীন এমন এমন সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর উপাচার্য গ্রহণ করেছেন তা নিয়ে গত কয়েকদিনে উত্তাল হয়েছে বিশ্বভারতী।
আরও পড়ুনঃ নেই সরকারি সহযোগীতা,করোনা-কালে সংক্রমণ ঠেকাতে বিকল্প পরিবহণের মাধ্যম ‘সাইকেল’
বিশ্বভারতীর প্রবীণ এবং অন্যতম বিদগ্ধ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর সাধুবাদ জানিয়েছেন পুলিশ সুপারের ভূমিকাকে। তিনি বলেন, “গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুক্ত আকাশ মুক্ত মাটির যে ঐতিহ্য তা ধরে রাখা এই মুহূর্তে অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। মেলার মাঠ ঘেরাকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে মানুষের জনমত সংগ্রহ করে তা অবিলম্বে যবনিকা টানতে হবে।
আরও পড়ুনঃ টানা ১৬ দিন লকডাউনের পর ছন্দে ফিরছে বীরপাড়া
পাশাপাশি শান্তির নিকেতনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাটাই এখন মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত সমস্ত শান্তিনিকেতন বাসীর।” বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার শ্যাম সিং জানিয়েছেন, “গত ১৯ তারিখ বীরভূম জেলা শাসকের নেতৃত্বে মেলার মাঠ বিতর্ক নিয়ে সমাধান সূত্র খুঁজে বোলপুর মহকুমা শাসকের অফিসে সর্বস্তরের মানুষদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছিল।
পুলিশের তরফ থেকে প্রবীণ আশ্রমিকদের সাথে যোগাযোগ করা হল আজ। ভবিষ্যতে নিয়মিত যেকোন সমস্যার সমাধানে বীরভূম জেলা পুলিশ শান্তিনিকেতন বাসীকে সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584