সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
স্বাধীনতার পর থেকে আজও রয়ে গিয়েছে যাতায়াতের সমস্যা। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আজও কিছু মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে দৈনন্দিন যাতায়াত নিয়ে।
মগরাহাট একনম্বর ব্লকের শ্রীচন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোঁইচ বেড়িয়া গ্রাম। শ্রীচন্দা মিস্ত্রী পাড়ার পোল থেকে বোঁইচ বেড়িয়া সরদার পাড়া পর্যন্ত হওয়ার কথা ঢালাই রাস্তার। দুটি বুথ, ৬৯ নং ও ৬২নং ঢালাই রাস্তার কাজ হওয়ার কথা ২২০০ ফুটের। হয়েছে ১৮০০ফুট, বাকি আজও পড়ে রয়েছে। স্বাধীনতার পর এই রাস্তা ছিল মাটির। বাম জামানায় ইঁট পাতা হয়। কিন্তু সংস্করণ না হওয়ায় রাস্তার দৈনদশা বেড়িয়ে আসে। বর্ষা কালে প্যাচপ্যাচে কাদায় যাতায়াত করতে হয় একাধিক গ্রামবাসীদের।
শ্রীচন্দা,সাপমারি,দস্তুরা,রসা গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দাকে জমা জল, প্যাচপ্যাচে ইঁটের হাড় বেড় করা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ক্ষমতায় আসলে রাস্তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল। শ্রীচন্দা গ্রামপঞ্চায়েতের শ্রীচন্দা মিস্ত্রী পাড়ার ৬২নং বুথ দখলে রাখে বিজেপি।
এই পাড়ায় রাস্তা সম্পূর্ণ হয়েছে বলে শিল পোঁতা থাকলেও আজও হয়নি গ্রামের ঢালাই দেওয়া রাস্তার কাজ। স্থানীয়দের দাবি, বর্ষা নামলে আতঙ্কে যাতায়াত করতে হয় তাদের, দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। পাশে শ্রীচন্দা খাল থাকায় আরও বেশি মাত্রায় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
আরও পড়ুনঃ বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধ অগ্রদ্বীপে,ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
৬২নং বুথের শ্রীচন্দা পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যের অভিযোগ, বিরোধী থাকার জেরে শ্রীচন্দা মিস্ত্রী পাড়ার পোলের ঢালাই রাস্তার কাজ নিয়ে রাজনিতী করছে তৃণমূল। বিজেপির বদনাম করতে এই পরিকল্পনা বলে দাবি বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা দেবশ্রী কয়ালের।যদিও ৬৯ নং বুথের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রামচন্দ্র সরদারের এলাকায় রাস্তার কাজ সুসম্পূর্ণ হয়েছে।
রাজ্যের সংখ্যা লঘু উন্নয়ন মন্ত্রী গিয়াস উদ্দিন মোল্লার ভাই জেলা পরিষদ সদস্য মুজিবর রহমান এই রাস্তার কাজের সঙ্গে জড়িত।কাটমানিতে স্তব্ধ হয়েছে সম্পূর্ণ রাস্তার কাজ বলে দাবি বিজেপি নেতা সত্যজিৎ ঘোরুইয়ের। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, কয়েকদিনের মধ্যেই সুসম্পূর্ণ হবে কাজ। জিও ট্যাকের কারণে বসানো হয়েছে শিল।
আরও পড়ুনঃ নতুন রূপে গুগল, বন্যার সতর্কবার্তা আসবে মোবাইলেই
সম্পূর্ণ রাস্তা নিয়ে রাজনৈতিক কাজিয়া শুরু হয়েছে তৃণমূল – বিজেপি দুই পক্ষেরই। বিজেপির দাবি, কাটমানির শিকার ২২০০ ফুটের রাস্তা। ১৮০০ ফুট সম্পূর্ণ হয়েছে ঠিকই, বাকিটা কাটমানির জেরে বন্ধ হয়েছে। আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবার হুমকিও দিয়েছে বিজেপি। যদিও বিজেপির কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ২২০০ মিটার রাস্তার কাজে বরাদ্দ ২৬ লক্ষ ৪হাজার পাঁচশ নিরানব্বই টাকা।
যেখানে ৬৯৩ জন শ্রমিকের ১৯১ টাকা করে দিন মজুরী নিয়ে মোট টাকা ব্যয় হয়েছে তেরো লক্ষ দুহাজার তিনশ তেষট্টি টাকা।
ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু প্রত্তাশা, প্রতিশ্রুতি দুটোই রয়ে যায়। সামনে ২১শের বিধানসভা নির্বাচন। রাস্তাকে হাতিয়ার করেই এবার পথে নামতে চলেছে বিজেপি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584