নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার মাছ চাষের অভিনব অগ্রগতি অব্যাহত। বিভিন্ন প্রজাতীর সুসংহত বৈজ্ঞানিক মাছ চাষ হচ্ছে হলদিয়ায় এবং অভিনব উদ্যোগ মৎস্য প্রেমী, শিক্ষানুরাগীদের জন্য মৎস্য খামার ভ্রমন। আর এই মাছের খামার থেকে পড়াশুনায় অভিজ্ঞতা অর্জন করতে এলো পাঁশকুড়া বনমালী কলেজের জুওলজী অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীরা।
এ দিন হলদিয়া ব্লক মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিকের অফিসে ৩০ জনের ছাত্র-ছাত্রীর দল নিয়ে প্রানীবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মৃন্ময় সামন্ত এসে পৌছান। মৎস্য আধিকারিকের অফিসে হলদিয়া ব্লকের মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু এলাকার বিভিন্ন মাছ চাষের সম্পর্কে একটি ধারনা বার্তা দেন।
এরপর কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে পৌছান হলদিয়ার বাড়ঘাসিপুর গ্রামের পবিত্র মুখার্জীর ফিশ ফার্ম। পুকুরে মাছ ও পাড়ে বিভিন্ন ধরনের শাক সব্জী ও ফলের গাছ, এক পরিবেশ বান্ধব জৈব মাছের খামার এটি। শহুরে হলদিয়ার বুকে ঘন সবুজে ঘেরা নীল জলের মাছের খামার হল এই মুখার্জী ফিশ ফার্ম। প্রায় ২০বিঘা এলাকা জুড়ে ছোট ছোট সাতটি জলাশয়ে করছেন বিভিন্ন ধরনের প্রায় হারিয়ে যাওয়া মাছের চাষ। দেশি কই , মাগুর, শিঙ্গি, পাবদা, ট্যাংরা বিভিন্ন মাছের বানিজ্যিক চাষ হচ্ছে এই খামারে। মাছের খাবার হিসেবে হলদিয়ার বিভিন্ন হোটেলের ফেলে দেওয়া খাবার প্রক্রিয়াকরন করে দেয়।
এছাড়া জৈব জুস, গোবর, চুন দিয়ে করেন জৈব চাষ । ছাত্র-ছাত্রীর দল বিভিন্ন তথ্য লিপিবদ্ধ করে, ছবিও তোলে বিভিন্ন মাছের। এদিন এই শিক্ষা মূলক ভ্রমনের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন হলদিয়ার বিডিও তুলিকা দত্ত ব্যানার্জী , মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ গোকুল মাঝি প্রমুখ। হলদিয়ার ফিশারী এক্সেটেনশান অফিসার সুমন কুমার সাহু বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে হলদিয়ায় শিক্ষামূলক মৎস্য খামার ভ্রমনে আসছেন বিভিন্ন কলেজ ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী। হলদিয়ার মাছ চাষের ধারা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পেরে মাছ চাষিরাও খুব খুশি। চুন, গোবর, নুন, বাদাম খোল প্রভৃতি দিয়ে জৈব উপায়ে কেমন লাভজনক দেশীয় মাছের চাষ হয় তাই সরিজমিন দেখে শিখলো ছাত্র-ছাত্রীর দল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584