সিমা পুরকাইত, দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
একদিকে গোটা দেশ যখন করোনা ভাইরাস নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারন মানুষ। ঠিক অন্যদিকে মেয়াদ শেষ হওয়া রেশনের আটা বিলি ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো রামনগর গাজীপুর পঞ্চায়েতের রামনগর গ্রামে।এম আর ৩১ নম্বর রেশন ডিলার সোরাপ উদ্দিন লস্কর দীর্ঘদিন ধরে মেয়াদ শেষ হওয়া আটা দিচ্ছেন গ্রামের মানুষদেরকে।
প্রশাসনকে জানিয়ে কোনো হস্তক্ষেপ না হওয়াই গ্রামের মানুষেরা অবশেষে ডিলার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন।
এমন কি ডায়মণ্ডহারবার মহকুমা খাদ্য দফতর,বিডিও কুলপি, রামনগর গাজিপুর প্রধানকে জানিয়েও কোনো সমাধান মেলেনি ।
প্রত্যন্ত এলাকার রামনগর গ্রামবাসীরা শেষ মেশ নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেন । প্রসঙ্গত, রামনগর গ্রামে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের বাস। অধিকাংশ মানুষই বিপিএল রেশন কার্ড আওতায় রয়েছেন। কিন্তু যে পরিমাণ রেশন থেকে খাদ্য দ্রব্য বা অন্যান্য সামগ্রী পাওয়ার কথা। তা ছিটেফোঁটা পান না বাসিন্দারা।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনের জেরে বন্ধ ব্যবসা, মাথায় হাত জবা চাষিদের
আবার অনেকের অভিযোগ কার্ড নিয়ে রেশন চাইতে গেলে মেলে বহিষ্কার । এমনকি গ্রামের রেশন পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। সবটাই অভিযোগ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দিকে।
একাধিকবার অভিযোগ এমনকি আবেদন জানিয়েও সমাধান মিলছে না বলে দাবি রামনগর গ্রামবাসীর। তাদের একটাই আর্জি অবিলম্বে এম আর ৩১নং রেশন ডিলার বন্ধ হোক। পাশাপাশি অন্য কেউ তাদের এই পরিষেবা দিক।
আরও পড়ুনঃ করোনায় আতঙ্কিত এগরাবাসী
তবে এই বিষয়টি নিয়ে মেয়াদ শেষ হয়েছিল সেটা সম্পূর্ণভাবে রেশন ডিলাররা সাব ডিলারকে দায়ী করেছেন।
বলেছেন যে তারা না বুঝে এই কাজ করেছেন । কিন্তু এখনও মজুত রয়েছে মেয়াদ শেষ হওয়া আটা ।
গ্রামবাসীদের তো অভিযোগ ছিল। তা হলে কেন মিলছে না সমাধান। রেশন ডিলার সোরাপ উদ্দিন লস্কর এর কাছে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামের একাধিক মানুষজন ।
জানা গেছে, সরকারি ভাবে এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে রেশন ব্যবস্থা । এমন পরিণতি যদি এপ্রিল থেকে হয়, তাহলে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হবে কুলপি ব্লকের রামনগর গাজীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর গ্রামবাসীদের মধ্যে। যা প্রশাসন অনেকটাই মূর্ছিত হবে বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584