শ্যামল রায়,কাটোয়াঃ
ভাগীরথী থেকে তোলা পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হয় পুর বাসীর জন্য। তাই ভাগীরথী থেকে জল তোলা হচ্ছে বলে পোর্টট্রাস্ট জলকর বাবদ কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব জমা দিতে চিঠি পাঠাল কাটোয়া পৌরসভাকে। বৃহস্পতিবার কাটোয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছে যে, পোর্টট্রাস্ট যে পরিমাণ টাকা আমাদের কাছে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে তা আমাদের পক্ষে কখনই দেওয়া সম্ভব নয়। তাই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে রাজ্যর পুরউন্নয়ন নিগমকে চিঠি দিয়েছেন এই টাকা কিভাবে পরিশোধ করা যায়,কিন্তু কোনোভাবেই এই টাকা কাটোয়া পৌরসভার তরফ থেকে পরিশোধ করা সম্ভব নয়।জানা গিয়েছে যে আজ থেকে চার বছর আগে কাটোয়া পৌরসভার শ্মশানঘাট সংলগ্ন ভাগীরথী নদীতে পরিশোধিত পরিশ্রুত পানীয় জল প্রকল্প তৈরি করা হয়। আটাশ কোটি টাকা ব্যয়ে এই জল প্রকল্প টি তৈরি করা হয়েছিল স্থানীয় বিধায়ক তথা পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে সে সময় কিন্তু কোন জল করের কথা আমাদেরকে জানানো হয়নি অথচ হঠাৎ করেই আমরা একটি চিঠি পোর্টট্রাস্টের তরফ থেকে যা আমাদের চিন্তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
তিনি আরো জানিয়েছেন,২০১৪ সালের ২০ আগস্ট থেকে ২০১৮ সালের ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত ২ কোটি ৫০লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৬ টাকার জলকর চেয়ে একটি চিঠি আমাদের দপ্তরে পাঠিয়েছে যেখানে পৌরসভার বাৎসরিক আয় হয় মাত্র দুই কোটি টাকা সেখানে এত টাকার জলকর আমাদের পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব নয়।
আরো জানা গিয়েছে যে ভাগীরথী থেকে চারটি ওভারহেড ও তিনটি আন্ডারগ্রাউন্ডের মাধ্যম দিয়ে পরিশোধিত পরিশ্রুত পানীয় জল শহরবাসীর কাছে সরবরাহ করা হয়।
শহরে উপভোক্তা সংখ্যা একাশি হাজার।দিনে চারবার জল সরবরাহ করা হয়। গ্রাহকদের মধ্যে এক কোটি কুড়ি লক্ষ লিটার জল সরবরাহ করা হয় অথচ প্রতি লিটার আড়াই টাকা করে দাম ধার্য করে এবং এর উপর ১৮% জি এসটি চাপিয়ে দিয়ে মোটা অঙ্কের একটি বিল পাঠিয়েছে কাটোয়া পুরসভাতে পোট ট্রাস্ট বিভাগ।
ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে কাটোয়া পৌরসভার বাসিন্দারা।
কাটোয়া পৌরসভায় কুড়িটি ওয়ার্ড রয়েছে। রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশ কয়েকটি ব্লক আর্সেনিক যুক্ত ব্লক হিসেবে পরিচিত। তাই কাটোয়া পৌরসভা তরফ থেকে গঙ্গা থেকে জল পরিশোধিত করে পানীয় জল হিসেবে সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হয় এই পানীয় জল প্রকল্প। রাজ্য সরকার যেখানে জলকর তুলে দিয়েছে সেখানে সেই নির্দেশকে উপেক্ষা করে কাটোয়া পৌরসভাকে কিভাবে চিঠি দিল পোর্ট ট্রাস্ট?
স্থানীয় মহকুমাশাসক জানিয়েছেন আমরা একটি চিঠি পেয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584