সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের মোট আলু উৎপাদনে উত্তরপ্রদেশের পরেই পশ্চিমবঙ্গের স্থান। কিন্তু গত কয়েক দশকে এই রাজ্যের আলু উৎপাদন যতটা হয়েছে তার সবটা বাজারজাত করা যায়নি। তার মূল কারণ সংরক্ষণের অভাব। বর্ধমানের চাষিদের আলু হিমঘরে তোলার আগেই পরিচর্যার নিদান দিচ্ছে প্রশাসন।
হিমঘরে আলু সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যেমন দেখা দরকার সঠিক তাপমাত্রায় আলু রাখা হচ্ছে কিনা সেই রকম হিমঘরের বাইরে আলুতে কিউবার মথের মত বিভিন্ন প্রকার ভাইরাস দ্বারা ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। হিমঘরে পাঠানোর আগে আলু ক্ষেতের মধ্যে অনেক সময় স্তূপাকারে রাখা থাকে।
আরও পড়ুনঃ সেচের জল পেয়ে খুশি চাষিরা
ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে একটি আলু থেকে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অন্য আলুতে। এ বিষয়ে আউসগ্রাম ১ ব্লকের বিডিও চিত্তজিৎ বসু বলেন, কৃষি ও কৃষি বিপণন দপ্তরের তরফ থেকে সচেতনতা মূলক প্রচার করা হয় সারা বছর।
তার পরেও যদি কোন দরকার কৃষকদের থাকে তাঁরা ব্লক প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে সর্বতোভাবে সেখান থেকে সাহায্য পাবেন। বর্ধমানের আলুচাষি সুজিত মন্ডল বলেন, আলু বেশি ফলন হলে বা কম হলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় চাষীদের।
সঠিকভাবে দাম মেলে না অনেক সময়ই। তাই প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়ে সচেতনতা প্রচার করেছে সেই ভাবে চললে ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পাবেন চাষীরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584