অভাবকে সাথে নিয়েই চলছে ঠাকুর তৈরীর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

0
78

সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ

শরতের পেঁজা তুলোর মত মেঘ, সেই মেঘকে ভেদ করে আসা রোদ জানান দেয়, পুজো তো আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই। কুমোরটুলিতে প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। পাড়ায় পাড়ায় শুরু হয়ে গিয়েছে মণ্ডপ তৈরির কাজও। শুরু ছোট বড় সব মণ্ডপের কাজ। তবে আগের মত হচ্ছেনা এবারের পুজো। করোনা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সবার কাছে।

potter | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

করোনার প্রভাব পড়েছে পোটো পাড়াতেও । এবার পুরোটাই যেন আলাদা চিত্র এখানে। বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে ব্যবসা করে আসছে সোনা পাল। আমতলার বৈদ্য বাগানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চলে আসে সোনা পাল। প্রতিবছর যেখানে পঁচিশ থেকে ত্রিশ জন কাজ করে, বর্তমানে সেখানে দশজনকে নিয়ে কাজ করছে সে।

আরও পড়ুনঃ কোচবিহারে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সাতটি পুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী

new porter | newsfront.co
অনিন্দ্য ভুঁইয়া। নিজস্ব চিত্র

চৈত্র মাসে আসে এই পোটো পরিবার। কিন্তু লকডাউনে সেভাবে কাজ না পাওয়ায় সমস্যায় পড়েছে তারা। চলতি বছরে পুজো হচ্ছে ঠিকই, অর্ডারও পড়েছে ঠিকঠাক। কিন্তু দাম! ঠাকুর ছোট হওয়াই ইনকামের পথ হারাচ্ছে অনেকে।

durga | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুনঃ আড়াই বছরের মধ্যে কুল্পীতে প্রধান পরিবর্তন, জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

সেই দাম আর নেই। করোনায় নেই হাতে টাকা। ফলে যেটুকু অর্ডার মিলছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করছে পোটোদারেরা। এবারে পাঁচ ফুট প্রতিমার সংখ্যা অনেকবেশি। আট থেকে দশ হাজার টাকা যে খানে বিক্রি হবার কথা সেখানে ৫ – ৬ হাজারে বিকচ্ছে। কুড়ি বাইশ ফুটের ঠাকুর বিকচ্ছে দশ বারো হাজারে । ফলে দাম পাচ্ছেনা ঠিকঠাক। তবুও অভাবকে সঙ্গে নিয়ে কোনক্রমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here