করোনা বিধি মেনে পৌষ মেলা কিরীটেশ্বরী মন্দিরে

0
120

নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ

মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাচীনতম মন্দির কিরীটেশ্বরী মন্দির। কথায় আছে এই মন্দির জাগ্রত মন্দির। রাজ্যের রাজ্যপাল শ্রী জগদীপ ধনকড় কিছুদিন আগে এসে এই মন্দিরে পুজো দিয়ে গেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই এই মন্দিরে মায়ের কাছে প্রার্থনা করতে আসেন।

temple | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

সারা বছর ধরেই মায়ের পুজো হয়ে আসে কিন্তু পৌষ মাসের প্রতি মঙ্গলবার শনিবার মায়ের পুজো ঘিরে বসে মেলা। কথায় আছে দক্ষ যজ্ঞের সময় যখন শিব সতীকে নিয়ে ঘোরে তখন বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রের দ্বারা ৫১ টি খন্ড হয়েছিল মায়ের। সেই ৫১ টি খন্ডের মধ্য থেকে একটি খন্ড এখানে পড়েছিল। সেই খন্ডটি হল কিরীট মুকুট সহ কপাল শীলা মূর্তি।

আরও পড়ুনঃ গঙ্গাসাগর নজরদারিতে বিদ্যুৎমন্ত্রী

মন্দিরের মায়ের মূর্তি নিচেই আছে সেই শিলা মুর্তিটি। প্রতি বছর এই সময় মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম থানার কিরীটেশ্বরী মন্দির চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় পৌষ মেলা। এই পৌষ মেলা উপলক্ষে মন্দির চত্বরে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়, তবে এইবার করোনা আবহ ! এই করোনা আবহাওয়ার জন্য এই পৌষ মেলায় এসেছে অনেক বিধি নিষেধ। মায়ের পুজো হচ্ছে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার।

fair | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুনঃ গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনে যুক্ত সকল কর্মীদের কোভিড বিমার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার

মঙ্গলবার মায়ের পুজো হচ্ছে মহা সমারোহে, বাইরে থেকে অনেকেই মায়ের পুজো দিতে এসেছে কিন্তু প্রত্যেককেই বারবার মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সতর্ক করা হচ্ছে। মন্দিরের ভেতরে কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে। করোনা আবহওয়ার সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে যথারীতি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই এই পৌষ মাসের প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার মায়ের পুজো হচ্ছে। মেলায় যেন অতিরিক্ত ভীড় না হয় সেদিকেও নজর রাখছে মন্দির কমিটির সদস্যরা।

মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয় প্রতিবছর থেকে এই বছর মেলায় মানুষের ভিড় খুব কম। প্রতিবছর যেই পরিমাণ দোকানে বসে তার থেকে অনেক কম দোকান এইবার মেলায় আছে। মেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বেশি করে রাস্তা ছাড়া হয়েছে ফলে কমেছে দোকানের সংখ্যা। করোনা আবহাওয়ার জন্য অনেক মানুষই কিন্তু এই বছর ভিড় এড়িয়ে চলছে তাই অনেকেই মেলায় আসেনি।

আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেল বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল

প্রশাসনিক সতর্কবার্তা মেনে মেলা চত্বরে বিভিন্ন দোকানে রাখা হয়েছে মাস্ক ও স্যানিটাইজার। যথারীতি বড়ো রেস্টুরেন্ট গুলিতে প্রতিদিন নিয়মিত সানিটাইজ করা হচ্ছে। তবে মেলায় আগত মানুষদের কথাই এই বছর মায়ের পুজো প্রতিবছরের মতো আনন্দ খুঁজে পাচ্ছে না।

কিনতু যদি প্রাণে বেচেঁ থাকা যায় তাহলে সামনে বছর আবার মায়ের পুজো হবে যথারীতি ধুমধাম করে। এই বছরের আনন্দ না হয় পুষিয়ে নেবে সামনে বছর সেই আশায় দিন গুনছেন মায়ের ভক্তরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here