নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
পৌষ সংক্রান্তি ও মকর পরব উপলক্ষ্যে মেতে উঠেছে গোটা জঙ্গলমহলের আপামর আমজনতা। বুধবার থেকে প্রতিটি ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে মকর সংক্রান্তি ও পৌষ পরব।
বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পুণ্যস্নান সারবেন জঙ্গলমহলের জনতা। এই সময় পালিত হয় নবান্ন উৎসব, এই সময়ে বাংলার মাঠের ধান ঘরে আসে। সেই নতুন ধান ঘরে তোলার আনন্দে হয় নবান্ন উৎসব। বাংলার ঘরে ঘরে বেজে ওঠে আনন্দ উৎসবের বাজনা।
মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানের কয়েক দিন আগে থেকেই জঙ্গলমহলে বিশেষ করে দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলাতে চলতে থাকে টুসু পুজোর আয়োজন। বাড়িতে বাড়িতে চলতে থাকে পিঠে পুলির আয়োজন। বৃহস্পতিবার নতুন কৃষি বর্ষের সূচনা হয়। মকর পরবে বাড়তি আনন্দের মাত্রা এনে দেয় মোরগ লড়াই।
মোরগ লড়াইকে ঘিরে রীতিমতো মেলা বসে। ধামসা মাদলের বোলে মুখরিত হয়ে ওঠে বাংলার পাড়া – গ্রাম। পাড়াতে পাড়াতে টুসু পুজো, ঝুমুর গানের সুর, মাদলের বোল, পিঠে পায়েস আর মোরগ লড়াই সব মিলে গ্রাম বাংলার এক অন্যরূপ উদ্ভাসিত হয়।
আরও পড়ুনঃ কোলাঘাটের রূপনারায়ণ নদীতে মকর সংক্রান্তির পূণ্যস্নান
এটি বাংলার তিলোত্তমার রূপ। বাংলাকে দেখতে হলে কলকাতা বা অন্য কোন বড় শহরে নয় বাংলার পল্লী গ্রামে এলেই তার সনাতন রূপ দেখা যায়। এই সময় সীমান্ত বাংলার মানুষের হাতে কিছুটা টাকা পয়সা আসে। মাঠের ফসল ঘরে আসে।
ধানের তুষ দিয়ে টুসু প্রতিমা তৈরী হয়। সেকারণে টুসু এখানে ক্ষেত্রলক্ষী রূপে পূজিত হন। মকরসংক্রান্তির ঠিক আগের দিন জঙ্গলমহলের হাটে-বাজারে সে চিত্রই ধরা পড়ল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584