ক্ষমতা আর অস্ত্রের পৈশাচিক উল্লাসে চাপা পড়ে যাচ্ছে গণতন্ত্রের আর্তনাদ

0
133

গ্রাম বাংলা জ্বলছে।নির্বাচন কমিশনও স্বীকার করে বলেছে রাজ্যে নৈরাজ্যের পরিস্থিতি চলছে।বোমা গুলির লড়াইয়ে কান পাতা দায়।রক্ত ঝরছে প্রতিদিন।কিন্তু কেন এ রণক্ষেত্র?কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচন।কেন এ নির্বাচন কারণ গ্রাম বাংলার মানুষ নিজেরা বুঝে নেবে নিজেদের অধিকার।প্রাত্যহিক জীবনের প্রয়োজনীয় অধিকারের প্রয়োজন মেটাতেই পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা।পঞ্চায়েতি ব্যবস্থা গড়ে তোলার আরও একটি মূল লক্ষ ছিল একদম তৃণমূল স্তরের মানুষের মধ্যে রাজনীতি সচেতনতা গড়ে তোলা।স্থানীয় সরকারে নিজেদের পরিচিত এলাকার মানুষের প্রতিনিধিত্ব শাসন কার্যে তাদের আস্থা অর্জিত হবে। সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রান্তিক মানুষজন যত বেশী রাজনীতিগত সচেতন হবেন ততবেশী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সাফল্য সুনিশ্চিত হবে।

ফাইল চিত্র

ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচন সেই অর্থে এক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন।গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন এক পরীক্ষা যেখানে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের কার্যাবলীর পরীক্ষা করতে পারে সত্যের মুখিমুখি দাঁড়িয়ে।কিন্তু আজ বাংলা জুড়ে যা চলছে তা নির্বাচনের নামে এক প্রহসন একথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।আর এই অরাজকতা এবং নৈরাজ্যের দায় এ রাজ্যের শাসক অস্বীকার করতে পারবেন না।বিরোধীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতেই পারেন কিন্তু ২০১১ থেকে সুশাসনের বাংলায় প্রসাশন পুলিশ কি করছে যারা এই নৈরাজ্য রুখতে পারছে না?এ প্রশ্ন সাধারন শান্তি প্রিয় নাগরিকরা অবশ্যই তুলবে।

পঞ্চায়েতি ব্যবস্থাও তার ঘোষিত লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ একথাও অস্বীকার করার উপায় নেই।পূর্বতন রাজ্য সরকারের সময়ে যে বিষবৃক্ষের বীজ পোঁতা হয়েছিল সেই চারাগাছ আজ মহীরুহে পরিণত হয়েছে।পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল নিয়ে এ কোন্দল কোন আর্দশের লড়াই নয় এ হলো অর্থের মধুভান্ড দখলের লড়াই।তাই পিস্তল বোমা এবং জীবন বাজি রেখে মারমুখী শাসক বিরোধী।কিন্তু যে প্রশ্ন আবশ্যিক ভাবে উত্থাপিত হবে তা হলে এই মারমুখী জনতা যাদের হাতে আজ বেআইনি অস্ত্রের প্রাচুর্য যার আজ প্রসাশনের প্রত্যক্ষ অপ্রত্যক্ষ সমর্থনে ইন্ধনে লালিত হচ্ছে তারা বুমেরাং হয়ে উঠবে না তো শাসককে তা কিন্তু অবশ্যই ভাবতে হবে।আশু স্বার্থ সিদ্ধি করতে গিয়ে ভবিষ্যতে নিজেদের কবর খোঁড়া হয়ে যাচ্ছে না তো।

ফাইল চিত্র

ইতিহাস বড় নিষ্ঠুর এবং ক্ষমাহীন তার বিচারের শাস্তি কিন্তু অবধারিত ফলে প্রসাশন সমাজবিরোধী মিলিয়ে দিয়ে যে অরাজক ভোট ভোট খেলা চলছে তাকে কিন্তু ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে জবাবদিহি করতেই হবে।শাসন ক্ষমতায় থাকা শাসক কি প্রস্তুত সে জবাব দিতে। গণতন্ত্রের কাফিনে যে পেরেক মারা চলছে তা আটকাতে না পারলে বর্তমান শাসককেও কিন্তু তার আঘাত সহ্য করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here