মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
করোনা সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এই ঘোষণার পর থেকেই সাধারন মানুষকে বলা হয়েছে বাড়ির বাহিরে যাওয়া যাবে না। তারপর থেকেই সাধারন মানুষ তথা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষরা হারিয়েছে তাদের কাজকর্ম। তার জেরেই কৃষকরা পাচ্ছে না কাজের জন্য কোন শ্রমিক।
সেই কারনে কৃষকরাও ব্যাপকহারে কৃষি কাজের সমস্যায় পড়ছেন। তবে বর্তমান সময় জোর কদমে শুরু হয়েছে পাট রোপণের কাজকর্ম। চলছে চাষ বাসও। কিন্তু চাষাবাদ চললেও লকডাউনে জেরে মানুষ ঘর থেকে বেড়তে পারছে না। একই সাথে মিলছে না মই দেওয়ার জন্য গবাদি পশুও।
আরও পড়ুনঃ সংক্রমণ থেকে এলাকাকে মুক্ত করতে জীবাণুনাশক স্প্রে দুই যুবকের
তাই বাধ্য হয়ে পাওয়ার টিলার দিয়ে জমিতে মই দেওয়ার সাক্ষী রইল কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা ২নং ব্লকের ফেশ্যাবাড়ি এলাকা। জানা গেছে, চলতি মরশুমে পাট রোপনের কাজ চলছে চারিদিকে জোরকদমে। কিন্তু, এই সময় জমি পাট রোপণ করতে হলে চাষ করার পর সেই জমিতে মই দিতে হয়। তা না হলে জমি সমতল হবে না।
কিন্তু লকডাউনের জেরে কোন শ্রমিক বাড়ির বাহিরে বের হচ্ছে না। এমনকি পাওয়া যাচ্ছে না গোরুর বা বলদের হাল। তাই বাধ্য হয়ে মাথাভাঙ্গা ২ নম্বর ব্লকের ফেশ্যাবাড়ি এলাকার চাষি অসিরত আলী রবিবার পাওয়ার টিলার দিয়ে জমিতে মই দিলেন। ওই কৃষকের এহেন পরিস্থিতি দেখতে কৌতুহলী মানুষেরা তার ওই জমির আশপাশে ভিড় জমাতে থাকে । তাই অসিরত আলির এই দৃশ্য দেখার জন্য যারা এসেছেন, তাদের সংক্রমণ রুখতে রীতিমতো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন করেন তিনি।
এদিন এ বিষয়ে অসিরত আলী জানান, “লকডাউন জারি থাকায় যেমন কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। তেমনি আমিও কারও বাড়িতে যেতে পারছি না। তাই পাটের চাষের জন্য জমিতে হাল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জমি সমতল করার জন্য মই দিতে হবে। তার জন্য বলদ জোগাড় করাও সম্ভব হয়ে উঠে নি। তাই বাধ্য হয়ে পাওয়ার টিলার দিয়ে পাট ক্ষেতের জমিতে মই দিচ্ছি”।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584