নিজস্ব প্রতিবেদক, নিউজফ্রন্ট:
২০১৭ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হবার পর মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর একটি বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, ‘যারা টেট পাস প্রার্থী তারা যদি প্রশিক্ষন নেয় তাহলে তাদের ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে’ । শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এরকম তিনটি (১৫-১৭,১৬-১৮,১৭-১৯) ব্যাচের প্রায় ১২০০ চাকরীপ্রার্থী আছেন । ঐ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টেট পাস প্রার্থীরা শিক্ষাদপ্তরে যোগাযোগ করলেও কোনো সদুত্তর পায়নি বলে অভিযোগ ।
অবশেষে বিগত কয়েকদিন পার্থবাবুর ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট সেকশনে তারা এ বিষয়ে দৃষ্টিপাত করার চেষ্টা করেন । তাদের আবেদন ছিল- ‘মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আমরা টেট পাস ও প্রশিক্ষিত প্রার্থী । আপনি বেকার যন্ত্রনা থেকে আমাদের মুক্তি দিন’। এবিষয়ে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত প্রার্থী প্রিয়ব্রত দাস,মৃন্ময় ঘোষ,জয়দীপ গোস্বামীরা জানান-‘ আমরা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর উপর নির্ভরশীল। ওনার পূর্ব প্রতিশ্রুতিই আমাদের আজ একমাত্র আশা ভরসা। আমাদের টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে বেকারত্ব থেকে বাঁচানোর প্রার্থনা জানাই’।
অন্যদিকে, ২০১৫ প্রাথমিক টেটের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ‘টেট কোয়ালিফাই ক্যান্ডিডেট’ দের সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা থাকলেও আজও তারা বঞ্চিত । আদালত টেট পাস প্রার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদানের আদেশ দিলেও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তা দেয়নি ।
একদিকে করোনা ভয়, অন্যদিকে বেকারত্বের যন্ত্রনা-এই মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে রাজ্য সরকারের সহানুভূতিশীল পদক্ষেপের আশায় অপেক্ষারত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট পাস প্রার্থীরা তাই শেষ পর্যন্ত বেছে নিল ‘Prayer from Home’-এর রাস্তা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584