মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
রাত পোহালেই রাস উৎসব। আর এই নিয়ে সাজো সাজো রব গোটা কোচবিহারে। প্রথা মেনে সোমবার রাত ৯টায় কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে যাগযজ্ঞ করে রাসচক্র ঘুরিয়ে পক্ষকাল ব্যপি রাসযাত্রার সূচনা করবেন জেলা শাসক পবন কার্ডিয়ান। একই সাথে এই সন্ধ্যাতেই কোচবিহার পৌরসভা পরিচালিত রাসমেলার উদ্বোধন হবে সাংস্কৃতিক মঞ্চে।
১৮১২ সনে কোচবিহারের মহারাজা হরেন্দ্র নারায়ণ এই মেলার সূচনা করেন। কার্তিকী পূর্ণিমার এই তিথিতে তৎকালীন কোচবিহার রাজ্যের রাজধানী স্থানান্তর হয় ভেটাগুড়িতে। এই উপলক্ষে ওই গৃহ প্রবেশের দিন রাসযাত্রার আয়োজন হয়। সেই থেকে ঐতিহ্য পরম্পরা মেনে রাস উৎসব চলে আসছে। বর্তমানে এই রাসযাত্রার অনুষ্ঠান পরিচালনা করে কোচবিহার দেবত্র ট্রাষ্ট বোর্ড।
মহারাজা মদনমোহনের রাসযাত্রা উপলক্ষে কোচবিহার শহরের একটা বড় অংশ জুড়ে আয়োজন হয় রাসমেলার। যা পরিচালনা করে থাকে কোচবিহার পৌরসভা। রাজা না থাকলেও রাজ নিয়মেই পরিচালিত হয় এই উৎসব। রাসচক্র ঘুরিয়ে মহারাজারা এই মেলার সূচনা করতেন। আজও সেই নিয়মেই জেলা শাসক এই রাসযাত্রার সূচনা করেন। এইদিন জেলার শীর্ষ এই আধিকারিককে রাজ মর্যাদা দেওয়া হয়। ‘তিনি যেন একদিনের রাজা’ জেলা শাসক পবন কার্ডিয়ান বলেন, আমি ভাগ্যবান যে এই পূজা করার সুযোগ পেয়েছি। কোচবিহারের মানুষের জন্য এই পূজা দিতে পারব, এই ভাবনাই আমাকে বেশ গর্বিত করে তুলেছে। ইতিমধ্যে দেবত্র ট্রাষ্ট বোর্ডের পুরোহিতদের সাথে কথা বলে পূজা বিধি জেনেছি আমি আশা করছি, এই পুজাতে যা নিয়ম আছে তা সঠিক ভাবেই পালন করতে পারব। প্রথা অনুযায়ী গোটা দিন নির্জলা উপবাস থেকে সময় মেনে পূজা দিতে হয়। জেলা শাসক জানিয়েছেন, তিনি মানুষের শুভ কামনার জন্যে উপবাস করেই আগামীকাল এই পূজায় বসবেন।
রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে একে বারে শেষ পর্বের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবছর এ মেলায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম পর্বে জানা গিয়েছিল ১৩ নভেম্বর তিনি কোচবিহার রাসমেলায় আসবেন। কিন্তু রাজ্যের বুলবুলের তাণ্ডবের কারনে তাঁর এই সফর পিছিয়ে গেছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584