দুর্গোৎসবের রেশ না কাটতেই নদীয়া সাজতে চলেছে জগদ্ধাত্রী পুজোয়

0
206

শ্যামল রায়,নদীয়াঃ
বাঙালির শ্রেষ্ঠ দুর্গোৎসব শেষ হতেই শুরু হয়ে গেল নদিয়ার কৃষ্ণনগর ও চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর কাউন্টডাউন।জানা গিয়েছে যে এই দুটি শহরে অন্যান্য উৎসব সেরকম একটা জাক জমক না হলেও জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনা যেমন দেখা যায় তেমনি বড় আকারের জগদ্ধাত্রী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বাঁশের খুঁটি পোঁতা শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন বারোয়ারি কমিটির বিগ বাজেটের পুজো গুলিতে।জগদ্ধাত্রী পুজোয় এবার নতুন আকর্ষণ হতে পারে কৃষ্ণনগর কে নিয়ে সংগীত শিল্পী নচিকেতার গান যার প্রস্তুতি চলছে বলে এক পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন।কৃষ্ণনগর শহরে দুর্গাপুজোর জাঁক-জমক সেরকম একটা না থাকলেও কয়েকটি বনেদি বাড়ির পুজো শুধু অনুষ্ঠিত হয় এছাড়াও দুর্গা পুজো অনুষ্ঠিত হয়।দুর্গাপুজোর একমাস পরে জগদ্ধাত্রী পুজোর তিথি,কথিত রয়েছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে নৌকায় চেপে ঘরে ফিরছিলেন পথে ফেরার সময় দেখতে পান মা দুর্গার নিরঞ্জন হচ্ছে বিসর্জন হওয়া দুর্গা কে দেখে রাজার মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল পরে তিনি স্বপ্নাদেশ পান জগধাত্রী রূপে দেবীকে পুজো করার সেই থেকে আজও প্রচলন হয়ে আসছে কৃষ্ণনগরে কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের জগদ্ধাত্রী পুজো।বঙ্গে জগদ্ধাত্রী পুজো প্রচলনের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে কৃষ্ণনগরে।ফলে জগধাত্রী পুজোকে ঘিরে এখানকার বাসিন্দাদের উন্মাদনা সবথেকে বেশি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পুজো মন্ডবে খুটি পোতা হয়ে গিয়েছে মণ্ডপসজ্জা তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে টিমের পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছেন অনেক পুজো কমিটি তাই জগধাত্রী পুজোর আকর্ষণ হতে পারে কৃষ্ণনগর কে নিয়ে বহু সঙ্গীত শিল্পীদের গানের ডালি নিয়ে।
কৃষ্ণনগর শহরের অন্যতম পুজো গুলোর মধ্যে হচ্ছে চাসাপারা আনন্দময়ী তলা,রায়পাড়া, মালিপাড়া পুজো কমিটির প্রধান কর্তারা জানিয়েছেন যে এই পুজো গুলো দেখতে মানুষের ঢল নামে।জগদ্ধাত্রী পুজোয় বরাবর প্রথম সারিতে থাকে কৃষ্ণনগরের গোলাপটি বারোয়ারি পুজো কমিটি,এবং এতিম শিশু শ্রমিক।ট্যাগ লাইন থাকবে মা তো ওদের ও। মন্ডবে দেখানো হবে শিশুশ্রম এর জেরে শৈশব বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।একদিকে স্কুল বই খাতা অ-আ-ক-খ তুলে ধরা হবে মণ্ডপে অন্যদিকে শিশুরা চায়ের দোকান খাবারের দোকানে কাজ করছে।
‘শিশুর পায়ে বাঁধা শিকল’ গোলাপটি বারোয়ারি পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা তথা এলাকার কাউন্সিলর জানান যে ‘জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে এবার এতিম শিশু শ্রমিক হয়ে আমরা চাই জগধাত্রি মায়ের কৃপায় শিশুশ্রম উঠে যাক যেন সকলকে নিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারি দুমুঠো অন্নের জোগাড় করতে পারি কর্মসংস্থানের মধ্যে দিয়ে এটাই জগধাত্রী মায়ের কাছে প্রধান আরাধনা।’

আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুর ও কাঁথিতে উৎসব পরবর্তী সাফাই অভিযান

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here