পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
তারাপীঠে এসে মাতৃকামূর্তিকে নিজে হাতে বেনারসি পরিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।নরেন্দ্র মোদির সেনাপতির সেই আসা স্রেফ আসা ছিল না।বলা চলে সেই পদ্ম বাহিনীর প্রথন পদক্ষেপ।পরিকল্পনা করে এসেছিলেন তিনি ২৭ জুন।তার পরের ঘটনা পরপর সকলের জানা।অনুব্রতর ‘গুড় বাতাসা’, ‘পাঁচনবাড়ি’ ফিকে হয়েছে।বীরভূমে তৃণমূল ব্যনার থেকে কমে সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে।আর সুদেমূলে বেড়েছে বিজেপি।
এতটাই সেই বৃদ্ধি যে,অমিত শাহের মঙ্গলকামনায় চরামচরাম ঢাক বাজছে আজ তারাপীঠেই।অনুব্রতর নাকের ডগায় যজ্ঞ হচ্ছে সপ্তদশ গেরুয়া মন্ত্রীসভার কল্যাণ কামনায়।
বিশ্বশান্তি এবং নয়া ভারতবর্ষের শ্রীবৃদ্ধি কামনায় তারাপীঠ মন্দিরে পুজো পাঠ ও যজ্ঞ করল বিজেপি।অমিত শাহ-র পাঁচ পূজারী ছিলেন যজ্ঞের মূল উদ্যোক্তা।বিজেপি জেলা সহ সভাপতি ছিলেন যজ্ঞের মধ্যমণি।
আজ সন্ধেয় রাষ্ট্রপতিভবনে সপ্তদশ লোকসভায় দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি।তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে সাজো সাজো রব রাষ্ট্রপতি ভবনে।পৌঁছতে শুরু করেছেন অতিথিরাও।
আরও পড়ুনঃ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের দিনে মোদির দীর্ঘায়ু কামনায় হোম যজ্ঞানুষ্ঠান
সেই উপলক্ষ্যে জ্যৈষ্ঠ মাসের বৃষ রাশিতে কৃষ্ণপক্ষে একদশ তিথিতে মোদীর কাশ্যপ গোত্র ধরে সকাল থেকে পুজো শুরু হয়।এই পুজো চলবে সন্ধে পর্যন্ত।এদিন ভোরে তারাপীঠের গর্ভগৃহে শীতলা পুজোর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নামে পুজো শুরু হয়।এরপর মন্দিরের সামনে যজ্ঞস্থলে শুরু হয় রাজকীয় পুজো।১০৮ টি পদ্ম ও বেলপাতা, ১০৮ বার যজ্ঞে আহুতি,৩১ টি বেনারসি শাড়ি দিয়ে পুজো শুরু হয়।যজ্ঞে মজুত ছিল ৩০ কেজি বেল কাঠ এবং পাঁচ কেজি গাওয়া ঘি।
পুজোয় অংশগ্রহণ করেন অমিত শাহ-র পাঁচ পুরোহিত নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়, পুলক চট্টোপাধ্যায়, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, বামাপদ মুখোপাধ্যায়, শ্যামাচরন মুখোপাধ্যায়।পুলকবাবু বলেন, “ভোটের কয়েক মাস আগে তারাপীঠে পুজো দিতে এসেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।তিনি মায়ের কাছে ভারতবাসীর মঙ্গল কামনা করে পুজো দিয়েছিলেন।তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তারাপীঠ থেকে একটি রথের যাত্রা শুরু করবেন নিজে। কিন্তু সরকার ও প্রশাসনিক বাধায় সেই ইচ্ছে পূরণ হয়নি।তাই আমরা তার ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে পুজো ও যজ্ঞের ব্যবস্থা করেছি।”
নিখিলবাবু আরও বলেন, “সকালে প্রধানমন্ত্রীর নামে পুজো করা হয়েছে।এরপর যজ্ঞ করা হয়। দুপুরে সহস্রাধিক মানুষের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। সন্ধেয় শীতলা ভোগের মধ্য দিয়ে পূজার্চনা শেষ করা হবে।”
বীরভূম জেলা বিজেপির সহ সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী বলেন, “প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে মোদী দেশের সার্বিক উন্নতি করেছেন। আমরা চাই আগামী দিনে ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি হোক। সামাজিক সুস্থ জীবন কামনায় এবং সামরিক সুরক্ষা শ্রীবৃদ্ধি কামনায় পুজো দেওয়া হল।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584