নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
‘শ্যুট ফ্রম হোম’- এর নামে কীভাবে কলাকুশলী ও শিল্পীদের ভবিষ্যতকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলা হচ্ছে, তা সবাইকে জানাতে ১৪ই জুন, ২০২১ সভাপতি শ্রী স্বরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে ফেডারেশন। সেখানে সঙ্গত নানা প্রশ্ন উত্থাপন করে সেগুলির বিষয়ে ১৫ই জুন, ২০২১-এর মধ্যে প্রযোজক সংস্থা WATP –র কাছ থেকে শ্বেতপত্র দাবী করেন ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।
শুট ফ্রম হোমের অনুমতি পেয়েছিল মিঠাই, কী করে বলব তোমায়, তিতলি, ধ্রুবতারা, কৃষ্ণকলি, অপরাজিতা অপু, গ্রামের রানী বীণাপানি, বরণ, যমুনা ঢাকি, খেলঘর, গঙ্গারাম, জীবন সাথী, সাঁঝের বাতি, খড়কুটো, শ্রীময়ী, মোহর, দেশের মাটি, রিমলি, ওগো নিরুপমা, ফেলনা। শুট ফ্রম হোমের নামে এদের মধ্যে বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক গুদামে, হোটেলে, ভাড়া বাড়িতে, অতিথি শালায়, নদীর ঘাটে। এমন তো কথা ছিল না। শুট ফ্রম হোম করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছিল।
কিন্তু আর্টিস্টরা যেসব সামগ্রী গায়ে চড়িয়ে শুটিং করছেন তা তাঁদের নিজেদের নয়। উইগ, তুলসির মালা, শাড়ি সবই এতদিন পরে এসেছেন তাঁরা। বাড়িতে বসে পাচ্ছেন কোথা থেকে? এর উত্তর শ্বেতপত্রে দিতে হবে ১৫ জুনের মধ্যে। এভাবে ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে টেকনিশিয়ানদের। তাঁদের হাতে কিছু টাকা ছুঁইয়ে চলছে শুটিং।ফেডারেশনের টেকনিশিয়ানরা এই মুহূর্তে কাজ করছেন না। তাও ধারাবাহিক সম্প্রচারের সময় তাঁদের নাম যাচ্ছে কেন স্ক্রলে? টেকনিশয়ানরা কাজ না করে টাকা নেবে না।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ফেডারেশনের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে-“ফেডারেশন এর অন্তর্গত সমস্ত গিল্ড /ইউনিয়ন/ ও অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সম্পাদকদের জানানো যাচ্ছে যে, লকডাউন পিরিয়ডে যে সমস্ত কলাকুশলীর পারিশ্রমিক ব্যাংকে এনইএফটি বা আরটিজিএস মারফত ঢুকেছে সেই সমস্ত টাকা প্রযোজকদের ফেরত দেয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আপনারা আপনাদের সদস্যদের অবিলম্বে প্রযোজকদের সেই টাকা ফেরত দিতে বলুন। এটি ফেডারেশানের গৃহীত সিদ্ধান্ত।” শ্বেতপত্রে পরিষ্কার উত্তর না এলে ফেডারেশনের কলাকুশলীরা কাজ করবে না বলে সাংবাদিকদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্বরূপ বিশ্বাস।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584