নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ
শীতে খেজুর গুড়ের সন্দেশ পাটালি মোয়া ও পায়েসের জোগান দিতে বেরিয়ে পড়েছেন শিউলিরা।ঝাড়গ্রামে বিভিন্ন জেলা থেকে এসে পৌঁছেছে তারা। ঝড়গ্রামের জামবনি লালগড় বিনপুর ও বেলপাহাড়ি এলাকায় সব থেকে বেশি খেজুর রস সংগ্রহ হয়ে থাকে। স্থানীয়রাবাদেও দুই চব্বিশ পরগনা থেকে আসা শিউলিরা খেজুর রস সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে।শীত যতবেশি বাড়বে ততবেশি পাওয়া যাবে খেজুরের রস। পুজোর কয়েকদিন পর থেকেই শীত আসতে শুরু করেছে।আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়ে ছিল এবছর শীত ভালোভাবেই পড়বে। তাই শিউলিরা অনেকটা প্রত্যাশার সঙ্গেই খেজুর রস সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে।নদিয়া থেকে আশা ইনদসার আলি দীর্ঘদিন খেজুর রস সংগ্রহের কাজে যুক্ত। বর্তমান সময়ে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারনে ব্যবসা সবসময় ভালো হয় না বলে তিনি জানিয়েছেন।তিনি বলেন,শীত পড়া শুরু হতেই পরিবার নিয়ে খেজুর রস সংগ্রহ করতে শুরু করেছি। আগে খেজুর গাছের মালিকরা সামান্য কিছুর বিনিময়ে গাছ থেকে খেজুর রস সংগ্রহ করতে দিতেন,কিন্তু এখন তা হয় না।মোটা অংকের টাকাও গুড় না দিলে তারা গাছ দিতে চান না।আগে আমরা এক একটি এলাকায় ২০০ থেকে ৫০০ টি খেজুর গাছ পেতাম এখন সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে একশতে। ধীরে ধীরে ব্যবসার প্রসার কমলেও পূর্ব পুরুষের পেশা ধরে রেখে কোনরকমে কাজ করে চলেছি।জাম্বনির আরেক শিউলি লাহার শেখের মতে,আগে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে অনেক বেশি রস সংগ্রহ করা সম্ভব হতো।এখন আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় খেজুর রস সেভাবে পাওয়া যায় না।তাছাড়া সমস্ত জিনিস পত্রের দাম বাড়লেও খেজুর গুড়ের দাম সেভাবে বাড়েনি।খেজুর রস সংগ্রহ করার পর গুড় তৈরি করতে যেমন সময় লাগে তেমনি প্রচুর জ্বালানী দরকার হয়,এর ফলে লাভ খুব একটা হয় না।এক কেজি গুড় বিক্রি হয় ৮০টাকা দরে,এক গ্লাস রস মেলে ৫ টাকা দরে। এইভাবে পুরনো পেশা ধরে আর কতদিন এগিয়ে যেতে পারবো জানি না।
আরও পড়ুনঃ ভস্মীভূত দ্বিতল মাটির বাড়ি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584