নিজস্ব সংবাদদাতা,ঝাড়গ্রামঃ
শহরের রঘুনাথপুর এলাকায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সত্তরের দশকে মাঝামাঝি এই অগ্রদূত ক্লাবটি তৈরি হলেও ক্লাবের রেজিস্ট্রেশন হয় ১৯৭৯ সালে।এই অগ্রদূত ক্লাবের কালীপুজো বিখ্যাত ছিল।এখনও এই ক্লাবের উদ্যোগে কালী পুজো হয়।এই ঘটনার আড়ালে প্রমোটারি চক্র থাকার অভিযোগ তুলেছেন ক্লাবের অধিকাংশ সক্রিয় সদস্যরা।তাঁদের বক্তব্য, দোতলা ক্লাবের পাশে একটি বাড়িতে এক বিধবা মহিলা বাস করতেন।বছর খানেক আগে তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর উত্তরসূরী একটি প্রমোটারি গোষ্ঠীর কাছে বিক্রি করে দেন।সম্প্রতি, সেখানে বাড়িটি ভেঙে বহুতল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।বহুতল নির্মাণের পাশে ক্লাবটি রয়েছে।তাই প্রমোটারি গোষ্ঠী ক্লাবটি ভেঙে জমি দখল করতে চাইছেন বলে ক্লাব সদস্যদের একাংশের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১ টা নাগাদ জেসিবি মেশিন দিয়ে অগ্রদূত ক্লাবটি ভাঙা হচ্ছিল।সেই সময় খবর পেয়ে ক্লাব সম্পাদক তরুণবাবু বাধা দিতে এলে দুষ্কৃতীরা লোহার রড দিয়ে তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। ক্লাবের এক সদস্য বলেন, “শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ আমরা ক্লাব থেকে ক্যারাম খেলে বাড়ি গিয়েছিলাম।সাড়ে ১১ টা নাগাদ খবর পায় কিছু দুষ্কৃতী ক্লাব ভাঙতে এসেছিল।ক্লাব যাতে অক্ষত থাকে সেজন্য স্থানীয় কাউন্সিলার তথা পুরসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম।চেয়ারম্যান সেই চিঠিতে ক্লাব যাতে ঠিক থাকে সে ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিলেন কিন্তু গত কালের ঘটনায় আমরা জরুরী মিটিং করে ঘটনাটি মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টিতে নিয়ে আসব।”
এদিন হাসপাতালের বেডে শুয়ে ক্লাব সম্পাদক তরুণকুমার পান্ডা বলেন, “শুক্রবার ক্লাব ভাঙার খবর পেয়ে যেতেই দেখি জেসিবি দিয়ে ক্লাবটি ভাঙা চলছে।বাধা দিতেই আমাকে বেধড়ক মারধর করা হয়।এমনিক জেসিবি চাকার উপরে আমাকে চেপে ধরা হয়েছিল।স্থানীয় লোকজন বেরিয়ে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছি।’’
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী সফরের আগে ঝাড়গ্রামে কড়া নিরাপত্তা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584