শুভশ্রী মৈত্র, ওয়েব ডেস্কঃ
বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতায় আনা সরকারি প্রস্তাব ভোটাভুটির মাধ্যমে আজ পাস হলো বিধানসভায়। কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপরে আঘাত, এই মর্মেই সরকারি প্রস্তাব আনা হয় মঙ্গলবার। এই ইস্যুতে এ দিন বিধানসভায় সরব হন তৃণমূল বিধায়কেরা। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১২টি ও বিপক্ষে ৬৩টি। এ দিন ভোট দেননি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, রাজ্যের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই রাজ্যের সীমান্তে নজরদারি চালানোর লক্ষ্য়ে বিএসএফ-এর এলাকা বাড়ানো হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ার ভুক্ত বিষয়। সংবিধানের সপ্তম ধারা অনুযায়ী যে কোনও অপরাধের তদন্ত করার অধিকার একমাত্র রাজ্য পুলিশের হাতে। তাই কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি সংবিধানের এই ধারাকে লঙ্ঘন করছে বলে দাবি করেন তিনি। এমনটা হতে থাকলে মোট ১১টি জেলা বিএসএফ-এর নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। পিছন দরজা দিয়ে কেন্দ্রীয় শাসনের যে ইঙ্গিত বিজ্ঞপ্তিতে আছে, রাজ্য সরকার তার বিরোধিতা করছে বলে জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ রণগ্রাম ব্রিজ খোলার দাবিতে গতকালের পর দ্বিতীয় দফায় পদযাত্রা অধীর চৌধুরীর
পাঞ্জাব বিধানসভায় ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে সোমবারেরই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584