শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন মন্দির ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও বসতবাড়িতে হামলার প্রতিবাদে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন। সমাবেশ থেকে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মন্দির মেরামত করাসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
কলকাতার একাডেমি অব ফাইন আর্টস চত্বরে ভাষা ও চেতনা সমিতির উদ্যোগে সোমবার বিকেলে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বন্দিমুক্তি কমিটি, ফ্রেন্ডস অব ডেমোক্রাসি, এআইপিএফ এবং এসআইও সংগঠনও অংশ নেয়। এ সময় বাংলাদেশে মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর লুটপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি–সিপিএমের ছাত্রসংগঠন এসএফআই হামলার প্রতিবাদে কলকাতার কলেজ স্ট্রিট, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
আরও পড়ুনঃ চোর সন্দেহে শিক্ষককে বেধড়ক মারধর, ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর
কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের অদূরে বেকবাগানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সিপিআই (এমএল)। সোমবার রাজ্যের সর্বত্র প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভের করে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখা। তারা দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাটের ভারত সেবাশ্রম থেকে এক প্রতিবাদ মিছিল বের করে। হামলার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি নেতা ও বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী পার্ক সার্কাসের বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে স্মারকলিপি দেন।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে দুর্গা প্রতিমা ভাঙার প্রতিবাদে মিছিল বিজেপির
এ সময় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির আরও সাতজন বিধায়ক। স্মারকলিপি প্রদান শেষে শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই, এই ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না আমরা। আমরা শন্তি ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584