নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
রাজ্যে এখন নতুন আতঙ্কের নাম ফণী।দুই অক্ষরের এই নামটি বেশ সহজ সরল হলেও এর প্রভাব পড়তে চলেছে ব্যাপক আকারে।দু-অক্ষরের বেশধারী এই নামটি আসলে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া অতি তীব্র একটি ঘূর্ণিঝড়।এই ফণী নামক ঘূর্ণিঝড়কে মোকাবিলা করতে অবশেষে নামল এনডিআরএফের বিশেষ দল।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী উড়িষ্যার অভিমুখ থেকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় “ফণী”।যার অভিমুখ উড়িষ্যা মুখী হলেও তার প্রভাব পড়তে পারে বাংলার উপকূলে।আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ফণীর এপিসেন্টার ওড়িশার পুরীর থেকে ৩৬০ কিমি দূরে।শুক্রবার দুপুর ১২ টার মধ্যে ফণী আছড়ে পড়বে ওড়িশার সমুদ্র উপকূলে।
যার ফলে ইতিমধ্যে প্রায় পর্যটক শূন্য করে দেওয়া হয়েছে সমগ্ৰ পুরী শহরকে।স্থানীয় মৎস্যজীবীদেরকেও এখন মাছ ধরতে সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।মূল ভূখণ্ডে ঢোকার পর এই ফণীর ঘন্টায় গতিবেগ থাকবে ১৭০-২০০কিমির মধ্যে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ইতিমধ্যে সমগ্র পুরী শহর জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যাপক আকারে ঝড়-বৃষ্টি।
আরও পড়ুনঃ শক্তি বাড়াচ্ছে ‘ফণী’, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে সারা জীবনের জন্য বাতিল লাইসেন্স
পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর ও ঝারগ্রামে হাজির হলো এনডিআরএফ ২ ব্যাটেলিয়ান এর দল। নারায়ণগড় এর প্রায় ৩০ জন এই দলে রয়েছেন।ঘূর্ণিঝড় ফণী উপকূল অঞ্চল গুলিতে আছড়ে পড়ার আগেই আগাম সতর্কবার্তা হিসাবে নারায়ণগড় ব্লকে আশা এনডিআরএফ এর দলটি নারায়ণগড় এর বিভিন্ন স্কুলে সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করেছেন।
ইতিমধ্যে বেশ ক’টি স্কুলে তারা তা সম্পন্ন করেছে।উক্ত ব্লকে আসা এনডিআরএফ এর টিমের শীর্ষ কর্তা রাজেশ সিং যাদব জানিয়েছেন -“কলিকাতার এনডিআরএফ এর ২ নম্বর ব্যাটেলিয়ান দল আমরা।ঘূর্ণিঝড় “ফণী” যে উড়িষ্যার উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল আমাদের এই বাংলা তার কিছু প্রভাব পড়তে পারে।
তাই আগাম সতর্কীকরণ করতে এবং দুর্যোগ মোকাবিলা করতে আমাদের এখানে আসা।যতদিন না এই ঘূর্ণিঝড় “ফণী” শক্তি হারাচ্ছে ততদিন বিশেষভাবে আমাদের এই দল কাজ করবে নারায়ণগড় ব্লক সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চল গুলিতে।ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন স্কুল ও এলাকায় গিয়ে মানুষদেরকে সতর্ক করছি এবং কিভাবে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করা যায় তার প্রশিক্ষণ দেওয়া চলছে।”
আবহাওয়া দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফণী পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে ৩রা ও ৪ঠা মে।যার প্রভাব পড়বে ব্যাপক আকারে।এরপর ঘূর্ণিঝড় ফণী ক্রমেক্রমে সরে যাবে উত্তর-পূর্ব দিকে।ফণীর প্রভাব এরাজ্যে বেশিরভাগ দক্ষিণবঙ্গের ওপরেই পড়বে বলে আবহাওয়া দপ্তরের আশঙ্কা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584