তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ
উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরে ছাত্র বিক্ষোভে নিহত দুই প্রাক্তন ছাত্রের শেষকৃত্য নিয়ে তৈরি হল নতুন সমস্যা। তাদের দাবি,গুলিচালনার ঘটনার সিবিআই তদন্ত করতে হবে।নিহত প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের কফিনবন্দি মৃতদেহ পুঁতে রাখা হয়েছে মাটিতে।রাতে পাহারারও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।শুক্রবার রাতে দুটি মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়েছে। নিহত রাজেশ সরকারের বাবার দাবি ময়নাতদন্ত হলেও তা তাঁকে জানানো হয়নি।
পাশাপাশি ধরপাকড়ের নামে পুলিশি হয়রানি চলছে।এদিকে,গুলিতে দুই প্রাক্তন ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ এখনও পুলিশের ওপরেই।তাদের দাবি যতক্ষন পর্যন্ত দুই ছাত্রের মৃত্যুর কারণ সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানো হচ্ছে তারা ততদিন এই ভাবেই রাতদিন দুই ছাত্রের মৃতদেহ পাহারা দিয়ে যাবে।ঘটনার দিন নিজের দোকানের সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন রাজেশ সরকার। সেখানেই পিছন দিক থেকে গুলি এসে লাগে রাজেশের দেহে। অন্যদিকে,তাপস বর্মণকে গুলি লাগে তার বাড়ির সামনেই। দুজনই বিক্ষোভে সামিল হননি বলে দাবি গ্রামবাসীদের।তাঁদের বক্তব্য,ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত নন তাপস।স্কুলের সামনেই তাঁর বাড়ি,আর বাড়ির সামনে মিষ্টির দোকান। দোকানে রাজমিস্ত্রি কাজ করছিলেন,সেই কাজেরই তদারকি করছিলেন তাপস।সে সময় তার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়ছিল জনতা।ওইসময় আচমকাই ওপর প্রান্ত থেকে গুলি এসে লাগে তাপসের বুকে। এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায় শরীরটা।রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে শিলিগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য,শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ইসলামপুর। ছাত্রবিক্ষোভের মধ্যেই গুলি লেগে মৃত্যু হয় রাজেশ সরকার নামে এক প্রাক্তন ছাত্রের। মঙ্গলবার থেকে ঘটনার সূত্রপাত।এদিন পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ইসলামপুরের দাঁড়িভিট হাইস্কুল।পুলিসকে লক্ষ্য করে ইঁটবৃষ্টি শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে পুলিস। অভিযোগ,আচমকা লাঠিচার্জ করতে শুরু করে পুলিশ।তারপরই গুলি ছোঁড়ে।এই ঘটনায় সম্পূর্ণরূপে পুলিসের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন গ্রামবাসীরা।জানা গেছে,স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ছাত্র বিক্ষোভের সূত্রপাত।দাঁড়িভিট হাইস্কুলে উর্দু শিক্ষক নিয়োগ বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে নামে ছাত্ররা।এদিন সেই শিক্ষককে স্কুলে দেখেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র ছাত্রীরা। অভিযোগ,ছাত্রীদের গায়েও হাত দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: ব্রিজ রক্ষার্থে যজ্ঞ বিজেপির
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584