মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
জেএনইউ কাণ্ডে তোলপাড় গোটা দেশ। প্রতিবাদ আন্দোলন কোচবিহারেও। শনিবার রাতে দিল্লীর জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে একদল দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালায়। এরফলে মারাত্মক জখম হয় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালের অধ্যাপক- অধ্যাপিকা সহ ৩৩ জন আহত হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কোচবিহার জেলাতেও ধিক্কার মিছিল সংগঠিত করে ডান-বাম বিভিন্ন সংগঠন।
সোমবার কোচবিহার জেলার প্রতিটি কলেজে বিক্ষোভ আন্দোলন সংগঠিত করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এইদিন কোচবিহার কলেজ, কোচবিহার সান্ধ্য মহাবিদ্যালয়, মাথাভাঙা কলেজ, দিনহাটা কলেজ, তুফানগঞ্জ কলেজ, বানেশ্বর সারথী বালা মহাবিদ্যালয় সহ বিভিন্ন মহাবিদ্যালয় গুলির কলেজ গেটে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীরা। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কোচবিহার শহরে মিছিল সংগঠিত করা হয়।
এদিন দেবী বাড়ি এলাকা থেকে এই মিছিল বেড়িয়ে পথ পরিক্রমা করে। যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিষ্ণুব্রত বর্মণ বলেন, সভ্যতার কলঙ্কিত অধ্যায় রচিত করেছে এভিপি-র নাম ধারি বিজেপি আশ্রিত সমাজ বিরোধীরা। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে যা হয়েছে তা সভ্য সমাজে কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায় না। উচ্চ শিক্ষায় মেধাবী ছাত্রছাত্রীরাই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ নেয়। সেই ছাত্রছাত্রীদের লক্ষ করে যে ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে তা আমাদের কাছে লজ্জার। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থার দাবি করেন তিনি।
ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর পক্ষ থেকেও প্রতিবাদ আন্দোলন করা হয়। ছাত্র সংগঠন ডিএসও এদিন ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে জমায়েত হয়ে মিছিল সংগঠিত করে এবং কাছারি মোড়ে বিক্ষোভ দেখায়। এসএফআই ও ডিএসও নেতৃত্বের অভিযোগ বিজেপির ছাত্র সংগঠন এভিবিপি-র গুন্ডারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য সংস্কৃতি ভেঙে এই হামলা চালিয়েছে। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি করেন তাঁরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584