নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জেলাশাসক দপ্তরে বিক্ষোভ

0
54

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

পেঁয়াজ-আলু সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, কালোবাজারি – মজুতদারির মাধ্যমে বাজারে বাস্তবে আগুন লাগিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। এবং ব্যাঙ্ক -বিমান- রেল- টেলিকম- বিমা- পেট্রোলিয়াম -জল- জমি -জঙ্গল সহ গোটা দেশটাকে বেসরকারি মালিকের হাতে নিলামে তুলে দেওয়ার কেন্দ্র সরকারের চক্রান্তের প্রতিবাদে মেদিনীপুর শহরে ডিএম দপ্তরে বিক্ষোভ ডেপুটেশনের কর্মসূচি নিল এসইউসিআই (কমিউনিস্ট)।

নিজস্ব চিত্র

দলের জেলা কার্যালয় কর্নেলগোলা থেকে শুরু হয়ে একটি মিছিল শহর পরিক্রমা করে। মিছিল শেষে ডিএম দপ্তরে বিক্ষোভ কর্মসূচি সংঘটিত হয়। এসইউসিআই কর্মীদের সাথে পুলিশের একপ্রস্থ ধস্তাধস্তি হয় । এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন এসইউসিআই (কমিউনিস্ট ) জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তুষার জানা , জেলা কমিটির সদস্য দীপক পাত্র।

নিজস্ব চিত্র

পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির দরুন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের হু হু করে দাম বাড়ছে। একদিকে কৃষকেরা ফসলের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে আত্মহত্যা করছে, আবার সেই ফসল চাষির কাছ থেকে হাতছাড়া হওয়ার পর স্টোরমালিক গুদামজাতকারী ও কালোবাজারিদের হাতে পড়ে কৃত্রিম সংকটের দরুন চড়া দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। অবিলম্বে এই কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে এবং রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য আইন চালু করে সুলভ মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহের দাবিতে বিক্ষোভ ডেপুটেশন কর্মসূচি আহূত হয়। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তুষার জানা। তিনি বলেন , “গোটা ভারতবর্ষের কৃষক সমাজ তাদের ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে ,অন্যদিকে কালোবাজারির দরুন ওই জিনিসপত্র জনসাধারণকে চড়া মূল্যে কিনতে হচ্ছে । অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য আইন চালু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি রোধ করতে হবে। না হলে জনসাধারণকে সংঘটিত করে দীর্ঘস্থায়ী গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”

এছাড়াও বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন দীপক পাত্র, মানিক পড়িয়া, বিশ্বরঞ্জন গিরি, ব্রতিন দাস প্রমুখ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here