সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
জাতীয় নাগরিক পঞ্জী প্রতিবাদে বর্ধমান সদর শহরে মিছিল করল তৃণমূল। পরপর দুদিন শহরে মিছিল করল রাজ্যের শাসক দল। যদিও বিরোধীদের দাবি, আন্দোলনে জোরদার নয় দুটি মিছিলে তৃণমূলের ফাটল কত গভীর তা পরিষ্কার বোঝা গেল।
দুটি মিটিংয়েই উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ, জেলা কমিটির কো-অর্ডিনেটর তথা সহ-সভাপতি দেবু টুডু। দু’দিন কেন মিছিল করা হল সে সম্পর্কে স্বপনবাবু বলেন, ‘গত ৮ সেপ্টেম্বর এনআরসি নিয়ে মিছিল করার কথা ছিল কিন্তু সেদিন দলের নেতা সেলিম খান মারা যান বলে মিছিল স্থগিত রাখতে হয়। সেই মিছিলটি হয়েছে পরশুদিন। আর তারপর দিন উদ্বাস্তুদের মিছিল ছিল। সিপিএম উদ্বাস্তুদের নিয়ে এনআরসি নামে রাজনীতি করতে চাইছে সেটা বন্ধ করতে এই মিছিল।’ দুটি মিছিলের মধ্যে বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলর অরূপ দাস একটি মিছিলের উদ্যোগ নেন। তিনি বলেন, ‘অনেকেই ভেবেছিল লোক হবে না। অনেকে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু দল কারো বাপের সম্পত্তি নয়। মিছিল সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছে।’
আরও পড়ুনঃ সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছেলের ছবি, শঙ্কিত ক্যানাসার আক্রান্ত মা
অরূপবাবুর এই বক্তব্য পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে যে দলের মধ্যে একটি বিভেদের রেখা বর্তমান। যদিও তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি, পরপর দু’দিন মিছিল করার উদ্দেশ্য শহরে কার ক্ষমতা বেশি সেটাই প্রদর্শন করা। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি (বর্ধমান সদর) সন্দীপ নন্দী বলেন, ‘তৃণমূলের বিভাজন মানুষ বুঝতে পারছে। মিছিলেও সেই রেশ রয়ে গেছে।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584