পল্লব দাস,বীরভূমঃ
বীরভূম জেলার প্রান্তিক এলাকায় অবস্থান করছে বন মহুরাপুর গ্রাম।বন বলার কারণ এখানে আজও রয়েছে মহুয়া বন,খুব ঘন না হলেও পাথুরে মাটির এই বনটি বেশ রোমাঞ্চের সঞ্চার করে।এখানে রয়েছে কাজু বাদামের গাছ,যদিও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে তা সংখ্যায় কমছে।নলহাটি শহর থেকে ৩৭ কিমি দুরে অবস্থিত গ্রামটি একটু ভিন্ন সংস্কৃতি সম্পন্ন।
গ্রামটিকে প্রায় অনেকটা অংশ ঘিরে আছে ঝাড়খন্ড রাজ্যের সীমানা।এখানে লালমাটির পথে রয়েছে এক উন্মত্ততার টান।যথেষ্ট বড় হওয়া শর্তেও এই গ্রামে একটিই দূর্গা পুজো হয়।সব ধরনের মানুষের উপস্থিতিতে মা দূর্গা এখানে পূজিত হন দেবী ভগবতী নামে।এখানে মানুষজন শান্ত স্বভাবের,উঁচু-নিচু,ধনী -গরিব সবাই একই স্থানে বসে পুজো দেখেন গ্রামের বারোয়ারি মন্দিরে।গ্রামের পুজোতে আনন্দ বলতে যা বোঝায় ঠিক তেমনই এখানে লক্ষ্য করা যায়।পুজোর চারদিন মানুষজন বেশিরভাগ সময়ই পুজো মণ্ডপে বসে থাকেন।পুজোর মেজাজে কেউ আবার ঢাক বাজিয়ে আমোদ বাড়িয়ে থাকেন।প্রসাদ বিতরণ,আরতি নেওয়া,পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া একসাথে মণ্ডপে আড্ডা দেওয়া সব মিলিয়ে যেন এক প্রবাহমান আনন্দের ধারা বয়ে চলেছিল।
অবশেষে দশমীর দিন প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্য দিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটল এই উৎসবের।সিঁদুর খেলার মধ্যে দিয়ে মা কে বিদায় জানান মেয়ে বউ -রা।
মহুরাপুর গ্রামটি ঝাড়খন্ড রাজ্যের খুব কাছে।দূর্গা মন্দির থেকে কয়েক কিলোমিটার গেলেই পড়বে বরুঙ্গা গ্রাম যার অর্ধেক অংশ ঝাড়খন্ড রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।ওপারে রয়েছে জয়পুর,আর সেখানেও উদযাপিত হয় দুর্গাপূজা।
রাজ্যের সীমা পেরিয়ে মানুষ মেতে ওঠেন উৎসবের আনন্দে।পুজোর শেষে বিজয়া শুভেচ্ছা বিনিময় আর আশা করে বলা “আসছে বছর আবার হবে।”
আরও পড়ুনঃ বিসর্জনে গতি আনতে ক্রেনের ব্যাবহার নদী ঘাটগুলিতে
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584