বর্তমান প্রেক্ষাপটকে উসকানি দিতে মঞ্চস্থ হল শঙ্কর- শংকরির কাকতাড়ুয়া

0
78

নিজস্ব সংবাদদাতা,উত্তর দিনাজপুরঃ

সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের নজমু নাট্য নিকেতনে তীর্থঙ্কর রায়ের রচনায় ও বিভু ভূষণ সাহার নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হল কাকতাড়ুয়া নাটক। নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের হতদরিদ্র দম্পতি শঙ্কর ও শংকরি। সামান্য কিছু জমির ফসলের উপর নির্ভরশীল তাদের সংসার।কিন্তু এটাও সহ্য হচ্ছিল না অনেকেরই।শঙ্কর তার ধানের জমিতে ফসল যাতে চুরি না যায় তার জন্য জমির ধান পাহারা দিতে নিজের হাতে একটি কাকতাড়ুয়া বানিয়ে জমিতে বসিয়ে দিয়েছিল।কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি।প্রায় দিনই জমি থেকে ধান চুরি হতে থাকে। শঙ্কর একদিন চোরকে হাতে নাতে ধরে কাকতাড়ুয়ার সাথে বেঁধে রেখে দেয়।কোন এক সময় গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় চোর পালিয়ে যায়।

নাটকে অভিনয় করছেন কলাকুশলীরা। নিজস্ব চিত্র

পরবর্তীতে ওই চোর গ্রামের মোড়লের সহযোগিতায় গ্রাম্য দম্পতির জমি দখলের নেশায় মেতে ওঠে।জমি কীভাবে দখল করা যায় তার ফন্দি করতে গ্রামে আনা হল এক তান্ত্রিককে।গ্রামের মোড়লকে ডেকে তান্ত্রিক রটিয়ে দিল হতদরিদ্র শঙ্কর ও শংকরির ধানের জমির একটি স্থানে শিবলিঙ্গ আছে।মাটি খুঁড়ে সেই শিবলিঙ্গ অবিলম্বে বের করতে হবে।কথামত কাজ।মাটি খুঁড়তেই শিবলিঙ্গের একটি পাথর বেরিয়ে পড়লো। যেভাবে বর্তমান সমাজে হতদরিদ্র মানুষদের ঠকিয়ে জমি দখল করা হচ্ছে তারই বাস্তব রূপ ফুটিয়ে তুলে তার প্রকৃত বার্তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে এই নাটকটি।এই নাটকে গ্রামের মোড়লের ভূমিকায় বিভু ভূষণ সাহা অসাধারণ অভিনয় করেছেন,শঙ্করের ভূমিকায় প্রদীপ কুন্ডু ও শঙ্করির ভূমিকায় জয়ন্তী পাল সাহা,সৌমেনের ভূমিকায় সবুজ রায়,রমেনের ভূমিকায় গৌতম পাল। প্রত্যেকেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে ছিলেন যথেষ্ঠ সাবলীল।নাটকের আবহ সঙ্গীতে ঈপ্সিতা সাহা ও গিলি, সঙ্গীত প্রক্ষেপণে রণদীপ দত্ত,আলোক পরিকল্পনা দীপঙ্কর দে, আলোক প্রক্ষেপণে কমল বসাক ও মঞ্চ সজ্জায় গিলি যথেষ্ট সাবলীল ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ ডুয়ার্সের ছট পূজার ঘাট নির্মাণের কাজ চলছে জোর কদমে

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here