শ্যামল রায়,কালনাঃ
রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে ব্যস্ত প্রশাসন।জোরকদমে চলছে কাজ।
ইতিমধ্যে কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকে রূপশ্রী প্রকল্পে জোরকদমে আবেদনপত্র নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি দিলীপ কুমার মল্লিক জানিয়েছেন যে তাদের সমিতির অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বহু আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এরমধ্যে অনুমোদন হয়েছে ১৬৪ টি আবেদন পত্র।
ইতিমধ্যে যে সমস্ত আবেদনপত্র অনুমোদন হয়েছে সেই সকল প্রাপকদের কাছে টাকা বিতরণ করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক জানিয়েছেন যে প্রত্যেক প্রাপকের পাস বইয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ প্রদানের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। অনেকের স্ব স্ব প্রাপকদের একাউন্টে টাকা চলে গিয়েছে। তবে তার সমিতি এলাকার মধ্যে দোগাছিয়া এবং বকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রাপকদের সংখ্যাটা সবথেকে বেশি।
এই পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ইতিমধ্যে ২৫০ টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে।
এরমধ্যে ১৬৪ জন প্রাপকের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
সমিতির এই বিভাগের কর্মচারী নিরঞ্জন দাস জানিয়েছেন যে আরো আবেদনপত্র নেওয়ার কাজ চলছে। এই রূপশ্রী প্রকল্পটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত একটি জনপ্রিয় প্রকল্প। গরিব মানুষের যে সকল মেয়েদের ১৮ বছর বয়সের বেশি তাদের বিবাহের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন হয় তার একটা অংশ রূপশ্রী প্রকল্পের থেকে দেওয়া হবে। মেয়েদের বিবাহের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে পাবেন ।
এর ফলে যে সমস্ত গরিব বাবা মা আছেন তাদের মেয়েদের বিবাহের ক্ষেত্রে অনেকটাই অর্থের যোগান হয়ে যাবে। তাই রূপশ্রী প্রকল্পের সুযোগ পাওয়ায় অনেকেই খুশি বলে জানা গিয়েছে।
এর পরে রয়েছে কালনা ২ নম্বর ব্লক। ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মিলন দেবঘড়িয়া জানান যে তাদের ব্লগেও রূপশ্রী প্রকল্পে ভালো সাড়া মিলেছে। প্রাপকদের মধ্যে টাকা বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। জেলা পরিষদের উন্নয়ন কমিটির সদস্য প্রণব রায় জানিয়েছেন যে রূপশ্রী প্রকল্পের সুযোগ পেয়ে বহু গরিব মানুষ তারা ভীষণ ভাবে উপকৃত হবেন। যাদের মেয়ে বিবাহ দেয়ার জন্য অর্থের যোগান ছিল না এ রূপশ্রী প্রকল্পে অর্থ পেয়ে কিছুটা হলেও মেয়ের বিয়ে দিয়ে খুশি হবেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584