নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে কি পরমাণু যুদ্ধের ইঙ্গিত! রবিবার ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র বিষয়ক ডেটারেন্স ফোর্স-কে ‘হাই অ্যালার্ট’-এ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। পুতিনের এই ঘোষণায় সারা বিশ্ব আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তবে তার কিছু পরেই জানা গিয়েছে যে, বেলারুস সীমান্তে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেন্সকি। পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনার মধ্যে এই খবরে আপাত স্বস্তিতে সারা বিশ্ব।
জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেন্স্কির সঙ্গে ফোনে কথা হয় বেলারুশের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর। এর পরেই ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বেলারুশ সীমান্তে চেরনোবিল সংলগ্ন কোনও এক জায়গায় দুই দেশ আলোচনায় বসতে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ চেলসি ফুটবল ক্লাবের দায়িত্ব ছাড়লেন রোমান অ্যাব্রামোভিচ, ৬ জন ট্রাস্টির হাতে থাকল দায়িত্ব
তবে অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে কিছুটা চাপে পড়েছে রাশিয়াও। ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন ‘সুইফট’ নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলিকে ব্যান করার মত বড় পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। ‘সুইফট ব্যান’ কার্যকর হলে রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলির বিদেশি লেনদেন সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ ইউক্রেন থেকে কর্মীদের নিরাপদে অন্য দেশে সরানোর সব দায়িত্ব নিল গেম ডেভেলপার সংস্থা Ubisoft
এর পাশাপাশি রয়েছে পশ্চিমী দেশগুলির ধারাবাহিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ। সব মিলিয়ে চাপ বাড়ছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের উপর। এই পরিস্থিতিতে ‘ডেটারেন্স ফোর্স’-কে ‘হাই অ্যালার্টে’ পাঠানোর নির্দেশ, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একটি অংশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584