নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ
শিক্ষকেরাই জাতির মেরুদন্ড এবং শিক্ষকেরাই শিশুদের সোপান তৈরীর কারিগর এমনটাই বলা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যে শিক্ষার মান উন্নয়নের পরিবর্তে শিক্ষকদের বদলিকে ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার শিক্ষক মহলে।
সূত্রের খবর, নির্দেশিকা জারি হয়েছে ২০১৮ সালের মে মাস থেকে ডিসেম্বর মাস অব্ধি যে ৩২৯ জন শিক্ষকের ড্রাফটিং এবং ১১০ জনের স্থায়ী বদলি হয়েছে তাদের অবিলম্বে পুরনো স্কুলে ফিরে যেতে হবে।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ( ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক) পূরবী দে বিশ্বাস বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন। বদলিকে কেন্দ্র করে যে যুক্তিটি দেওয়া হয়েছে তা হচ্ছে এদেরকে নিয়োগের ক্ষেত্রে নাকি দুর্নীতি হয়েছে।কিন্তু কে বা কারা কবে কোথায় অভিযোগ করেছেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেখা দিয়েছে বিতর্ক।প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি নতুন করে এদের কে সামনে রেখে কেউ বা কারা অবৈধ আর্থিক লেনদেন শুরু করতে চলেছে?
এটাতে নিয়ে সরব হয়েছেন জেলার নেতৃবর্গ।ওনারা চাইছেন না এদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক কারণ শিক্ষার স্বার্থেই তাদের নতুন স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছিল।
সাংসদ এবং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবু তাহের খান এবিষয়ে জানিয়েছেন, দলগতভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে এবং জেলাতে এ বিষয়ে কোনো রকম সমস্যা হবে না এ আশ্বাসও দিয়েছেন। এছাড়া সরকারি কর্মচারী হোক বা পার্টির পদাধিকারী হোক যে বা যারা এই কার্যকলাপ গুলি করছেন তা সর্বসমক্ষে এসেছে।এ বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন সভাপতি নাড়ু গোপাল মুখার্জীর বক্তব্য নানান অসুবিধার কারণে দূর দূরান্ত থেকে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকারা ট্রান্সফার হয়ে এসেছেন। যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে সে বিষয়ে জেলা পরিদর্শক এর সাথে আলোচনা ভিত্তিক জেনে নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও পার্টির নাম ব্যবহারে বা শিক্ষক সমিতির নাম ব্যবহারের মধ্য দিয়ে নিজ স্বার্থের কারণে আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে প্রভাব খাটাতে চাই জেলার নেতৃত্বরা এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেবেন। শিক্ষকদের পক্ষে থাকবেন তারা।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন জানান মূলত তাদেরই ড্রাফটিং করা হয়ে থাকে যারা নানা অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন। ৩৩৯ জন ড্রাফটিং শিক্ষক এবং ১১০ জন স্থায়ী শিক্ষক যাদের নাম নথিভুক্ত হয়েছে তাদের কি প্রক্রিয়ায় হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে জেলা পরিদর্শক এর সাথে।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন ব্যতিরেকে বদলি নিয়ে সরব সব পক্ষ
এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন আছে তারা যদি তথ্যভিত্তিক যথাযথ কারণ উল্লেখ করে প্যানেল তৈরি করে দেন শিক্ষকদের ড্রাফটিং-র কারণ উল্লেখ করে তাহলে সে বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584