তপন চক্রবর্ত্তী, বিশেষ প্রতিবেদকঃ
যে রাজ্যে চিকিৎসা পরিষেবা কয়েকদিন থেকে ভেঙে পড়েছে,অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকগন পদত্যাগ করছে,রাজ্যের অসহায় দরিদ্র মানুষেরা চিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে অকালে মারা যাচ্ছে তার দিকে কোন ভ্রূক্ষেপ না দিয়ে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে এই সময়ে কাঁচড়াপাড়ায় দলীয় কর্মিসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষদের অবাক করে দিয়েছেন।
সাধারণ মানুষদের অকপটে বলতে শোনা যাচ্ছে ইনিই কি আমাদের একসময়কার অগ্নি কন্যা যিনি এক সময় মানুষের বিপদের কথা শুনলে সবার আগে গিয়ে পৌঁছতেন অথচ আজ তার রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসার পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে,চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে অথচ তার কোন রকম দায় দায়িত্ব কিছুই নেই?
সাধারণ মানুষের বক্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে যে অগ্নি কন্যা লুকিয়ে ছিল তাহলে কি বর্তমানে নেই?এটা কি রাজ্যপাট দখলের জন্যই সাময়িক ভাবে তার আবির্ভাব ঘটেছিল?উত্তর দিনাজপুর জেলার সর্বস্তরের মানুষের দাবি সমস্ত কাজ ফেলে রেখে সবার আগে জুনিয়ার চিকিৎসকদের সাথে বসে এর সুষ্ঠ মীমাংসার একটি পথ আজকেই খুঁজে বের করুক।
চিকিৎসকেরা আমাদের ঘরেরই ছেলেমেয়ে।তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান একমাত্র তিনিই করতে পারবেন বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।
এখন সময় এসেছে শুধু রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা যেমন করেই হোক ফিরিয়ে অনাটাই আপনার কাজ।রাজ্যের জুনিয়ার চিকিৎসকদের দাবির সমর্থনে ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রায় পাঁচশো স্বনামধন্য চিকিৎসকরা পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন।
শুধু রাজ্য নয়,ভারতবর্ষ নয় পৃথিবীর সর্বত্র পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধ হয়ে থাকার কারনে ঝড় উঠেছে।অথচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আপনি কোন সুরাহা না করায় আপনার কাজের মূল্যায়ন করতে গিয়ে ধিক্কার জানাচ্ছে বলে জানা যায়।আপনি একটু কান পাতলেই,শুনতে পাবেন।
আরও পড়ুনঃ দাবিতে অনড় মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,জুনিয়রদের সমর্থনে গণইস্তফা চিকিৎসকদের
আর যদি তা না শুনতে পান তাহলে জুনিয়ার চিকিৎসকদের আর হুমকি না দিয়ে তাদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করে কাজে ফিরিয়ে দেবার মত একটি বৈঠক করুন।যাতে এই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা পুনরায় আগের মত ফিরে আসুক সাধারণ মানুষের এটাই এখন প্রথম এবং প্রধান দাবি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584