মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
জেলা নির্বাচন আধিকারিক ও পুলিশ সুপারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কোচবিহারে সরব হলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।আজ রাসমেলার মাঠে মোদীর সভার প্রস্তুতি পর্ব দেখতে এসে মুকুল রায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন।সেখানে সাংবাদিকদের জানান,তারা নির্বাচন কমিশনের সাধারণ ও পুলিশ দুই পর্যবেক্ষকের সাথে দেখা করে সমস্ত অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন।
পাশাপাশি যে জেলা শাসকের নিয়ন্ত্রণে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৭০ শতাংশ আসনে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারে নি। সেই জেলা শাসক কখনও নিরপেক্ষ হতে পারে না।আবার যে পুলিশ সুপার ধরে ধরে বিজেপির কর্মীদের নামে মামলা দিচ্ছেন,তিনিও নিরপেক্ষ হতে পারেন না বলে দাবি করেন মুকুল বাবু।
বিজেপি নির্বাচনের শুরু থেকেই কোচবিহারের জেলা নির্বাচন আধিকারিক কৌশিক সাহা ও পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্তার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন।এর আগেও নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের বদলির দাবি করা হয়েছিল।রাসমেলার মাঠে একদিনের ব্যবধানে মোদী ও মমতার সভা নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় প্রশাসনের উপড়ে যারপরনাই রুষ্ট হয় বিজেপি নেতৃত্ব।আজ রাসমেলার মাঠে প্রশ্ন তুলে মুকুল বাবু বলেন, “ আগামী কাল রাসমেলার মাঠে কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে জনসভা হবে।সেখানে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি তৃণমূলকে একটি স্ট্রাকচার বানানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।তাহলে প্রশ্ন উঠছে কেন সভার অনুমতি দেওয়া হল। আবার ওদেরকে স্ট্রাকচার বানাতে কেন অনুমতি দেওয়া হল?
আবার ওই স্ট্রাকচারকে পুলিশ পাহারা দিচ্ছে বলে জানিয়ে মুকুল বাবু বলেন, “নিরাপত্তা দিতে গেলে পুলিশকে টাকা দিতে হয়।পুলিশ কি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য টাকা নিচ্ছেন?”
আরও পড়ুনঃ চিঠি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ মুকুলের
পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্তার নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, “ আসলে উনি খুব দ্রুত ডিআইজি, আইজি হতে যাচ্ছেন কিন্তু সব কিছু একটা নিয়ম নীতির মধ্যে দিয়ে চলে।” প্রধানমন্ত্রীর সভা নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুকুল বাবুর দাবি, “প্রধানমন্ত্রীর সভা।ভারতবর্ষের কোন রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে না।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584