নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
ভীমা কোরেগাঁও মামলা, দিল্লি দাঙ্গা মামলার নেতৃত্বে থাকা পুলিশ অফিসাররা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ‘শ্রেষ্ঠত্ব মেডেল’ পুরস্কার পেতে চলেছেন। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার শ্রী রাজেশ দেও যিনি দিল্লি দাঙ্গা মামলার তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে আছেন এবং মহারাষ্ট্রের ভীমা কোরেগাঁও মামলার ক্ষেত্রে এনআইএ-এর তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে থাকা আধিকারিক শ্রী বিক্রম খালাটে এই দুই বিতর্কিত নাম ঘোষিত হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ২০২০ সালের ‘মেডেল অফ এক্সেলেন্স’ প্রাপকের তালিকায়।
দিল্লি দাঙ্গা মামলার আধিকারিক শ্রী রাজেশ দেও বিপুল ভর্ৎসিত হন নির্বাচন কমিশনের কাছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে শাহীনবাগে গুলি চালানো এক বন্দুকবাজকে তিনি আম আদমি পার্টির বলে চিহ্নিত করেছিলেন। শ্রী দেও এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, শাহীন বাগে গুলি চালনায় অভিযুক্ত কপিল গুজ্জর এর ফোনে ছবি দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে যে সে আমআদমি পার্টির সদস্য, এবং গুজ্জর নিজেও সেকথা নাকি স্বীকার করেছে পুলিশের সামনে।
রাজেশ দেও এর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে সতর্ক করে এক চিঠিতে জানায়, একজন উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকের এরকম মন্তব্য খুবই অনুচিত এবং অনৈতিক; তাঁর এই মন্তব্য সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিপন্থী অতএব এ বিষয়ে তাঁকে যেন সতর্ক করা হয়।
আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পুরস্কৃত করবে রাজ্যের ৭ পুলিশ আধিকারিককে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি নির্বাচনের দিন তখন ঘোষিত হয়ে গেছে। আমআদমী পার্টি এবং বিজেপি দুজনেরই লক্ষ্য ছিল দিল্লি নির্বাচন জেতা। সেক্ষেত্রে একজন পুলিশ অফিসার এর এহেন মন্তব্য তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় এবং উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে দেয়, যা একজন সরকারি আধিকারিক করতে পারেন না। ভীমা কোরেগাঁও মামলার ক্ষেত্রেও মোটামুটি একই দৃষ্টান্ত দেখা যায়। দুই হিন্দুত্ববাদী নেতা এক্ষেত্রে প্রধান অভিযুক্ত ছিল।
আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত রামমন্দির ট্রাস্টের প্রধান মোহন্ত নিত্যগোপাল দাস
এন আইএ-এর তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে থাকা আধিকারিক বিক্রম খালাটে হলেন সেই ব্যক্তি যিনি শ্রী ভারভারা রাও কোভিড পজিটিভ হওয়ার পরেও বারেবারে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে বোম্বে হাইকোর্টে মন্তব্য করেছেন যে, শ্রী রাও তাঁর বয়োজ্যেষ্ঠ হওয়ার কারণে ‘অযথা সুবিধা’ নেওয়ার চেষ্টা করছেন জামিন পাওয়ার জন্য।
কাজেই স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্ক এই দুই সরকারি আধিকারিকের ক্ষেত্রে বারে বারে তৈরি হয়েছে। এতকিছু সত্বেও তাঁরা পুরস্কার পাচ্ছেন , কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আদৌ স্পষ্ট কোনো বার্তা দেয়নি যে ঠিক কোন শ্রেষ্ঠ তদন্তের কারণে তাঁরা ‘মেডেল অফ এক্সেলেন্স’ সরকারি পুরস্কারে ভূষিত হতে চলেছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584