নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
যতদিন যাচ্ছে করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। দীর্ঘদিন অফিস-কাছারি সহ বিভিন্ন কর্মসংস্থান বন্ধ থাকায় কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ।
এহেন পরিস্থিতির মধ্যেই খুচরো বাজারে আলুর দর বেড়ে যাওয়ায় নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এমনকী দর বেঁধে দেওয়ার জন্য নবান্নে বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এবারে আলুর দর কেন এত বাড়ল? কৃষক, আলু সংরক্ষণকারী ও ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে কী বলছেন? রাজ্য সরকারের একটা বিজ্ঞপ্তিও বাজারে আলুর দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলেও অনেকে মনে করছেন।
খুচরো ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে। যদিও আলুর সংরক্ষণকারীরা এই বক্তব্য মানতে নারাজ। এবছর হিমঘরে আলু রাখার পরিমান অনেকটাই কমেছে। ২০১৭ সালে ১৪ কোটি ৩২ লক্ষ প্যাকেট লোড হয়েছিল। ২০১৮ সালে ১৪ কোটি ৪ লক্ষ প্যাকেট, ২০১৯ সালে ১২ কোটি ৬৯ লক্ষ প্যাকেট রাখা হয়েছিল। এবার হিমঘরে আলু রাখা হয়েছে (২০২০ সাল) ১১ কোটি ৪০ লক্ষ প্যাকেট। তার মধ্যে ১০ শতাংশ বীজ আলু।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্য ২১, ‘সোজা বাংলায় বলছি’ ভিডিও সিরিজের প্রচার শুরু তৃণমূলের
আলুর দাম বৃদ্ধির পিছনে যে কথা বলা হচ্ছে, এখন কোল্ড স্টোরেজে ঝাড়াই-বাছাই এক নম্বর আলুর রেট কেজি প্রতি ২৪ টাকা। অ্যাভারেজ আলু ২৩ টাকা কেজি। চন্দ্রমুখী আরও ২ টাকা বেশি। ২৪ টাকা দামের পর ক্যারিং। মাঝে হাতবদল। ব্যবসায়ী সমিতি মনে করছে, এবার আর আলুর দাম কমার তেমন সম্ভাবনা নেই। পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সভাপতি সাগর দে বলেন, গতবছরের মত বৃষ্টির পরিস্থিতি হলে শেষের দিকে আলুর দাম আরও বাড়বে। তা নাহলে এমনই চলবে। তবে দাম যে কমবে তা একেবারেই নয়।
আরও পড়ুনঃ ঋতব্রত-ছত্রধরের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে শুভেন্দু ! ক্ষোভ দলের অন্দরেই
স্কুল শিক্ষা দফতরের মিড ডি মিলের এক পাতার বিজ্ঞপ্তি আলুর দর বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করছেন আলু মজুতকারীরা। কী ছিল সেই বিজ্ঞপ্তিতে? ওই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, আগস্ট মাসে ২৮ টাকা কেজি দরে ১ কেজি আলু কেনা হবে। সঙ্গে ২ কেজি চাল ও ১টা সাবানের কথা উল্লেখ রয়েছে।
সাগর বাবু বলেন, “ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর আলু সংরক্ষণকারীরা সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আগস্ট মাসে হিমঘর থেকে আলু বের করবে। একেই এবছরে হিমঘরে আলুর পরিমান অন্য বছরের তুলনায় কম রয়েছে। স্বভাবতই দাম বাড়তে বাধ্য।” ব্যবসায়ীদের কাছে সরকার বলেছে কলকাতার খুচরো বাজারের কথা বলা হয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন তাহলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাখ্যা করা হয়নি কেন।
এদিকে টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, পাইকারি দর ২০-২১ টাকা হলে খুচরো বাজারে ২৫ টাকা কেজি আলু দেওয়া যেতে পারে। আর মিড ডে মিলের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে আগামী কাল কথা বলব।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584