মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
গানে প্রানে ‘আবার আসিব ফিরে’ এই ভাবনাকে সাথী করে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে বেরাচ্ছেন তৃনমূলের দলীয় জনপ্রতিনিধিরা। আর তাতেই যেন কিছুটা ফিলগুড অবস্থায় রাজ্যের শাসক দল। লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বড় একমের ধাক্কা খাওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে দলীয় সংগঠন। আর একেই মেরামতির জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তৃনমূল নেতৃত্ব।
৪২ এ ৪২ তো দুরস্থ, লোকসভা নির্বাচনে এই বাংলায় ২২ আসন পেয়ে থেমে গেছে তৃনমূলের বিজয় রথ। ঘাসফুলের বিচরণ ভূমিতে শুধু ঘাসফুলই নয় ফুটছে পদ্মও। আর এর ফলেই দিশেহারা হতে হয়েছে তৃনমূল শিবিরকে। এবারে হারানো জমি ফিরে পেতে জনসংযোগকে হাতিয়ার করে পথে নেমেছে তারা।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। এই কর্মসূচির ফলে দল ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বলে আশাবাদী জেলা নেতৃত্ব।
রাজ্যের মন্ত্রী তথা নাটাবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে চষে ফেলেছেন তাঁর বিধানসভা এলাকা। শনিবার নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের দেওচড়াই অঞ্চলে জনসংযোগ যাত্রা করেন তিনি। শোনেন সাধারন মানুষের অভাব অভিযোগের কথা। সন্ধ্যায় অন্য মেজাজে দেখা গেল মন্ত্রীকে।
এদিন তিনি দেওচড়াইয়ের এক কর্মীর বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন। মন্ত্রীর রাতযাপনকে কেন্দ্র করে উচ্ছসিত গোটা গ্রাম। ছিল জলসার আয়োজন। ভাওইয়ার মেঠো সুরে আবেগে আপ্লুত হয়ে তিনি নিজেও গাইলেন গান। বিখ্যাত ভাওইয়া সংগীত ‘তোমরা গেইলে কি আর আসিবেন মোর মাহুত বন্ধুরে’ মন্ত্রীর গলায় কিছুটা বেসুরও হলেও জমে উঠল সন্ধ্যাকালীন লোকসংস্কৃতির এই আসর।
রাতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর ফারুক মন্ডলের বাড়িতেই এদিন রাত্রিবাস করলেন মন্ত্রী। ওই বাড়িতেই ছিল আহারের ব্যবস্থা। কালজানি নদী তীরে ঢেঁকিশাঁক, ডাল, আলু পটলের ডালনা, ডিম, বরোলী মাছের ঝাল দিয়েই চললো দিন ও রাতের আহার।
আরও পড়ুনঃ ফালাকাটায় তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্মেলন
এপ্রসঙ্গে রবিবাবু বলেন, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া পড়েছে। যারা ভুল করে বিজেপিতে ভোট দিয়েছিল তাদেরও আজ মোহভঙ্গ হয়েছে। সাধারন মানুষ মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের পাশেই আছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584