মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
“বিজেপির মিছিল মিটিং ও প্রচার দেখলে যদি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের টেনশন হয় তাহলে তার ডাক্তার দেখান উচিত।”কোচবিহারের ঝিনাইডাঙ্গার গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার এসে এমনি মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা।
তিনি আরও বলেন, “কোর্ট থেকে যে জট পাকিয়েছে, তা কোর্টেই সেই জট খুলবে। হয়তো আমাদের যাত্রা বিলম্বিত হবে।তৃণমূল বা সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণীতভাবে একটা যে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করেছিল।তাতে কোর্ট কিছুটা বিভ্রান্ত হয়েছে।তারপর কোর্ট এই রায় দিয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক পদক্ষেপকে কোর্ট এভাবে আটকাতে পারে না।তবে আমরা মনে করি উচ্চ আদালতে যে বিচার আমরা প্রার্থনা করেছি তা বিজেপির পক্ষেই যাবে এবং আমাদের রথযাত্রা হবেই।তার কারন ধর্মের জয় দেরিতে হলেও পাকাপাকি হয় এটা সত্য কথা।”
রাহুলের পরামর্শঃ
এদিন দুপুরে কোচবিহার ঝিনাইডাঙ্গার ওই সভাস্থলে গিয়ে ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও,কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা। তারপর তারা সেখান থেকে ফিরে আসলে বেলা দেড়টা নাগাদ ওই সভা শুরু হয়।এদিনের ওই সভায় একমাত্র হাজির ছিলেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ,কিন্তু শেষ অব্দি দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে কোচবিহার সফর বাতিল করার সিধান্ত নিতে বাধ্য হওয়ায় কিছুটা হলেও হতাশ বিজেপির কর্মী ও সমর্থকরা।আজ কোচবিহারের ঝিনাইডাঙা থেকে বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল।তবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে এই আশঙ্কায় রাজ্য সরকারের তরফে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি।যার চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যায় বিজেপি।তাতে কিন্তু বিজেপি খানিকটা অস্বস্তিতে পরলেও পরবর্তীতে রথযাত্রা সংক্রান্ত হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায় বিজেপি। এদিন সেখানে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও বিচারপতি অরিন্দম মুখার্জির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এই পরিস্থিতিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া উচিত নয়। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ১২ ডিসেম্বর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, হোম সেক্রেটারি, ডিজিপি ও বিজেপির তিনজন প্রতিনিধি আলোচনায় বসবেন।এরপর রাজ্য প্রশাসনকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।এই রায়ের পর বিজেপি শিবিরে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584