রাজভবন-নবান্ন সংঘাতে নতুন সংযোজন হেলিকপ্টার বিতর্ক

0
37

পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ

রাজভবন-নবান্ন সংঘাতে এবার যোগ হল হেলিকপ্টার বিতর্ক। পূর্ব ঘোষিত মুর্শিদাবাদ সফরে যাওয়ার জন্য মেলেনি হেলিকপ্টার। তাই ফরাক্কায় কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই সস্ত্রীক সড়কপথে পাড়ি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শুক্রবার ভোরবেলায় রাজ্যপাল সস্ত্রীক রাজভবন থেকে বেরিয়ে পড়েন মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে। মাঝে বর্ধমান এবং বীরভূমের সিউড়ির সার্কিট হাউস ঘুরে নবাবের শহরে যাওয়ার কথা তাঁর। সবমিলিয়ে হেলিকপ্টার বিতর্কে রীতিমত ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

Rajbhavan-nabanna conflict
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। নিজস্ব চিত্র

তবে গোটা পরিস্থিতিকে তিনি যে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছেন তা মনে করাতে আওড়ালেন বলিউডে সলমন খানের সেই হিন্দি ছবি ওয়ান্টেড-এর বিখ্যাত ডায়লগ। “একবার যো ম্যায়নে কমিটমেন্ট্ কর দি তো ম্যায় খুদকিভি নেহি শুনতা।”-আগেই রাজভবন থেকে জানানো হয়েছিল শুক্রবার মুর্শিদাবাদের সৈয়দ নুরুল হাসান কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাবেন রাজ্যপাল। ফেরার সময় বর্ধমান এবং সিউড়ির সার্কিট হাউসেও যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তারপর এদিন রাতেই রাজ্যপালের ফিরে আসার কথা রাজভবনে। প্রায় ৬০০ কিলোমিটার এই লম্বা রাস্তা সফরের জন্য রাজ্যের কাছে হেলিকপ্টার চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। জানানো হয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে।

Rajbhavan-nabanna conflict
নিজস্ব চিত্র

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধে গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও হেলিকপ্টার নিয়ে কোনও কথাই বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি বাধ্য হয়েই সড়কপথে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছেন। শুক্রবার ভোর পাঁচটা নাগাদ রাজভবন থেকে বেরোন তিনি। ৬.৫০ নাগাদ তিনি পৌঁছান বর্ধমান সার্কিট হাউসে। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার ৭.১০ নাগাদ বেরিয়ে পড়েন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। সকাল ন’টা নাগাদ সিউড়ির সার্কিট হাউসে পৌঁছে যাওয়ার কথা তাঁর। মিনিট কুড়ি সময় সেখানে কাটিয়েই মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়বেন রাজ্যপাল। এরপর মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দেন দুপুর ১২.২০ নাগাদ। অনুষ্ঠান শেষে আবারও সিউড়ি, বর্ধমান হয়ে রাত দশটা নাগাদ রাজভবনে ফিরবেন রাজ্যপাল।

এদিন বর্ধমানের সার্কিট হাউস থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন জগদীপ ধনকড়। তিনি বলেন, “ফরাক্কা কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছিল হেলিকপ্টার। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেও জানানো হয়েছিল। আমার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কোনও বিষয়ে যোগাযোগ করলে আমি তড়িঘড়ি প্রতিক্রিয়া দিই। কিন্তু আমার চিঠির পাল্টা জবাব এখনও পাইনি।” জাতীয় সড়কের বেহাল দশা নিয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন মোটের উপর রাস্তা ঠিকই আছে মাঝে কিছুটা জায়গায় ঝটকা লেগেছে, “জিন্দেগি মে তো কাভি কাভি ঝাটকা লাগনা চাহিয়ে” এরকমই হিন্দি ডায়লগ দিয়ে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here