হাওড়ায় শাসকদলের হাইভোল্টেজ মিছিলে গড়হাজির তিন হেবিওয়েট, হাঁটলেন প্রসূন

0
75

উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ

হাওড়ায় আজ শাসকদলের মিছিলে দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। এই মিছিলে বের হলেন না, বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা ও বালির জনপ্রিয় বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াও। তৃণমূলের একাংশের ধারণা, এনারা দল ছুট হবেন। সেজন্যই হাওড়ার তৃণমূলের নেতা ও রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের ডাকা মিছিলে গড়হাজির থাকেন। হাওড়ার দলের পরিস্থিতি নিয়ে খোদ দোলাচলে রয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

tmc party | newsfront.co
তৃণমূলের মিছিল। নিজস্ব চিত্র

কারণ একদিকে গোষ্ঠীকোন্দল, ‘বেসুরো’ একাধিক নেতানেত্রী। অন্যদিকে, বিজেপির রুটেই পাল্টা মিছিল। সবমিলিয়ে হাওড়ার হাইভোল্টেজ মিছিলে আজ নজর ছিল সবারই। কে আসবেন? আর কে এড়িয়ে যাবেন মিছিল? জোরকদমে চলছিল তার হিসেবনিকেশ। শেষমেশ দেখা গেল, প্রসূন ব্যানার্জি এলেন তৃণমূলের মিছিলে। তবে এলেন না রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, বৈশালি ডালমিয়া।

বৃহস্পতিবার হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মিছিল করেছিল বিজেপি। সেই মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ ও অর্জুন সিং। এরপর আজ সেই একই রুটে অরূপ রায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের মিছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই মিছিলে প্রকারান্তরে দলে অরূপ রায়ের শক্তি প্রদর্শন। সেই মিছিলে পাশাপাশি হাঁটতে দেখা গেল অরূপ রায় ও প্রসূন ব্যানার্জিকে। কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মীরতন শুক্লা বা বৈশালি ডালমিয়া কাউকেই দেখা গেল না।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার দলের একাংশের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সাংসদ প্রসূন ব্যানার্জি। ক্ষোভ উগরে দেন। এরপরই শনিবার তড়িঘড়ি ‘বেসুরো’ সাংসদকে ফোন করেন সৌগত রায়। এক ফোনেই বরফ গলে। সৌগত রায়ের সঙ্গে মন খুলে কথা বলে ‘সুরে’ ফেরেন প্রসূন ব্যানার্জি। এরপর আজ তিনি মিছিলে আসেন কিনা, সেটাই ছিল দেখার। দেখা গেল, তিনি এলেন। অন্যদিকে, অনুপস্থিত নেতৃত্বের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে অরূপ রায় বলেন, “সবাইকেই আমন্ত্রণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ জনসংযোগের লক্ষ্যে শিলিগুড়ির বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শনে অশোক

দলের কর্মীরা দলের সম্পদ। কর্মীরাই সাংসদ, বিধায়ক বানায়।” উল্লেখ্য, গতকাল ফেসবুক লাইভে ফের দলের বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তোপ দাগেন,”ভালভাবে কাজ করতে গেলে কিছু নেতারা ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেন। ভাল কাজ করতে গেলেই বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছি। আমি উন্নয়নের কর্মী হিসাবে কাজ করতে চাই। এমন উন্নয়ন হোক, যাতে কোথাও ফাঁক না থাকে।”

আরও পড়ুনঃ রঘুনাথগঞ্জে শিল্পী সমাবেশে কৈলাস বিজয়বর্গীয়

অন্যদিকে, খেলায় মনোনিবেশ করতে চান, এই কারণ দেখিয়ে ‘বিনা মেঘে বজ্রপাতের’ মত আচমকাই জানুয়ারিতে মন্ত্রিত্ব ও জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। যদিও বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। লক্ষ্মীরতন শুক্লা ইস্তফা দিতেই তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অরূপ রায়। যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে লক্ষ্মী ‘পালিয়ে যাচ্ছেন’ বলে কটাক্ষ করতে শোনা যায় অরূপ রায়কে। পাল্টা আবার বৈশালি ডালমিয়া বলেন, “একাংশ দলটাকে উইপোকার মতো কুরে কুরে খাচ্ছে। পুরনো কর্মীদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। নতুন কর্মীদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। কয়েকজন মানুষ দলটাকে নষ্ট করে দিচ্ছে।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here