পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
আভিযোগের মাত্র তিন চার ঘন্টার মধ্যেই ধরা পড়ল আদিবাসী কিশোরী গণধর্ষণের ছয় অভিযুক্ত। বাকি একজন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা, তার খোঁজ চলছে। অভিযুক্তরা সকলেই নাবালক। তাদের প্রথমে রামপুরহাট হোমে এবং পরে জুভেনাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ রামপুরহাট থানার অন্তর্গত নারায়ণপুর অঞ্চলে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া এক আদিবাসী গ্রামে। জানা গেছে, এই সময় আদিবাসীরা বাদনা পরব উৎসবে মেতে ওঠে। গ্রামের মধ্যে আদিবাসীদের এক উপাসনালয়ে হাজির হয়ে তারা নিজেদের ধর্মাচারণের মধ্য দিয়ে এই উৎসব পালন করে। রামপুরহাট থেকে ৩০ কিমি দূরে ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী এই আদিবাসী এলাকায় সেই সুবাদে ছিল উৎসবের আমেজ। শনিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ এলাকার দুই কিশোরী অন্য পাড়ায় জিনিস কিনতে যায়।
তারা উভয়েই স্কুল পড়ুয়া বলে জানা গেছে। দুই কিশোরীর বক্তব্য, তাদের সেই সময় জনা সাতেক যুবক মুখ চেপে দূরে এক জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে।
আরও পড়ুনঃ মুখে হিন্দু বললেই হবে,সিএএ এর জন্য কোন কাগজপত্র লাগবে না: সায়ন্তন বসু
এক নির্যাতিতার বাবা জানান, “প্রথমে নির্যাতিতারা কাউকে বিষয়টি জানায়নি। পরে গোটা বিষয়টি পরিবারের লোকেদের জানালে, প্রথমে তাঁরা গ্রামের মাঝিহারামের কাছে বিচারের জন্য যান। মাঝিহারাম মালঙ্গ সোরেন তাঁদের ক’দিন অপেক্ষা করতে বলেন। বাদনা পরব মিটে গেলে সালিশি সভা ডাকবেন বলে জানান তিনি। কিন্তু আমরা অপেক্ষা করিনি। রবিবার রাত ৯টা নাগাদ রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করি।” তারপর রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এস আহমেদের নেতৃত্বে, রামপুরহাট থানার আইসি দেবাশীষ ঘোষ সহ অন্যান্য পুলিশ অফিসার ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে তৎপরতার সাথে ৬ অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে আসেন।
নির্যাতিতাদের রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584