নিজস্ব সংবাদদাতা,আলিপুরদুয়ারঃ
অদ্ভুত উপলব্ধি,তাও চাকুরী জীবনের প্রথমেই।ব্যাঙ্কের লোভনীয় চাকুরী ছেড়ে বনকে ভালবেসে বন দপ্তরের চাকুরী নিয়ে মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের লংকা পাড়ায় বন দপ্তরের রেঞ্জার হিসেবে প্রথম দিনে চাকুরিতে যোগ দিয়েই জানতে পারেন রামঝোরা চা বাগানে ১২ বছরের এক কিশোরকে টেনে নিয়ে যায় চিতা বাঘ।এই অভাবনীয় ঘটনা তার মনকে নাড়া দেয়।সে দিনেই তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিনেন,যতদিন না চিতাকে খাঁচা বন্দি করতে পারেন ততদিন তিনি দাড়ি কাটবেন না।
সেদিন থেকেই প্রতিদিন সকালে দাড়ি কাটা অভ্যাস ত্যাগ করে একগাল দাড়ি নিয়ে নেমে পড়লেন চিতা বাঘ ধরতে।প্রতিজ্ঞা তাকে এনে দিল সাফল্য।তার প্রতিজ্ঞার পর থেকেই শুরু হয়ে গেল চিতার দুর্দিন।চা বলয়ের একের পর এক চিতা খাঁচা বন্দি হতে শুরু হলো।ইতিমধ্যেই ৮ টি চিতা খাঁচা বন্দি হয়েছে।পাশাপাশি কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে শ্রমিকদের।অপর দিকে মনোবল বেড়ে গেল বন কর্মীদের।তবে বন কর্মীরা ও সাফল্যের অংশীদার অস্বীকার করা যায় না ।
রাজ্যের বন মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বলেন, জেদ না থাকলে কোন বড়ো কাজ করা যায় না।ঐ আধিকারিক কে তিনি ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুনঃ গভীর রাতে ফের হাতির তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর
তবে যিনি দাড়ি নিয়ে প্রতিজ্ঞা করে ছিলেন, তিনি হলেন লংকাপাড়া বন দপ্তরের রেঞ্জার বিশ্বজিত বিষই।২৭ বছরের এই বনদফতরের আধিকারিকের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে ।পড়াশোনা করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জলচক নাটেশ্বরী নেতাজি বিদ্যায়তনে।তারপর হলদিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন।আর তার পরেই লোভনীয় ব্যাঙ্কের চাকুরী কিন্তু নিজে জঙ্গল মহলের ছেলে।তাই জঙ্গল সব সময় টানতো তাকে।আর সেই ব্যাঙ্কের চাকুরী ছেড়ে দিয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে যোগদেন রাজ্য বনদফতরে।তবে তিনি জানান এবার তিনি দাড়ি কাটবেন।কারন বাঘ খাঁচা বন্দি হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584